Home বরিশাল বরিশালে খাল কাটা, যত কাজ তত টাকা

বরিশালে খাল কাটা, যত কাজ তত টাকা

আলম রায়হান, অতিথি প্রতিবেদক:
বরিশাল নগরিতে খাল কাটা কাজে অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। কাজ না করে বিল নেওয়া তো দূরের কথা, কাজের অতিরিক্ত টাকাও নিতে পারেননি ঠিকাদাররা। সাত খাল কাটার জন্য বরাদ্দ ছিলো ৬ কোটি ৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা। আর সম্পাদিত কাজ অনুসারে পরিশোধ করা হয়েছে ২ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার টাকা। যা প্রাক্কলিত ব্যয়ের অর্ধেকেরও কম।
সূত্রমতে, সাগরদী খালের জন্য বরাদ্দ ছিলো ২ কোটি ৬৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা। আর কাজ অনুসারে ঠিকাদার বিল পেয়েছেন ১ কোটি ১৮ লাল ৭৯ হাজার টাকা। ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম লিটন। রুপাতলী খালের জন্য বরাদ্দ ছিলো ২৮ লাখ ১৩ হাজার টাকা। ঠিকাদার মোহাম্মদ জাকির হোসেন ভুলু কাজ করতে পেরেছেন ১৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকার। চাঁদমারী খালের জন্য বরাদ্দ ছিলো ৩২ লাখ ৪২ হাজার টাকা। চূড়ান্ত বিল হয়েছে ১৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। ঠিকাদার রুবেল। ভাটার খালের জন্য বরাদ্দ ৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। ঠিকাদার কাউছার কাজ করতে পেরেছেন ২ লাখ ৯১ হাজার টাকার। পলাশপুর খাল খননে বরাদ্দ ছিলো ১ কোটি ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। ঠিকাদার ইতালি শহীদ কাজ করতে পেরেছেন ৬১ লাখ ৬৭ হাজার টাকার। আমানতগঞ্জ খালের জন্য বরাদ্দ ছিলো ১ কোটি ৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। কাজ করাগেছে ৩৬ লাখ ৩৯ হাজার টাকার। ঠিকাদার চিরঞ্জীব বাবু। জেল খালের জন্য বরাদ্দ ছিলো ২৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। ঠিকাদার মুনিম খান কাজ করতে পেছেন ১২ লাখ ৮২ হাজার টাকার।
উল্লেখ্য, বরিশাল নগরির সাত খাল খনন করা হয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের আওতায়। এই প্রকল্পের নাম, ‘৬৪টি জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন (প্রথম পর্যায়) (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।’ বরাদ্দ ২ হাজার কোটি টাকা। এ থেকে বরিশালের সাত খালের জন্য বরাদ্দ ছিলো ৬ কোটি ৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা। সূত্র বলছে, বরিশাল নগরির খাল খনন পরিকল্পনায় গোড়ায়ই গলদ ছিলো। এদিকে, বরিশাল নগরির খাল খননের জন্য কাজ পাওয়া ৭ ঠিকাদারের মধ্যে ৫ জনই ছিলেন নতুন। ফলে খাল খনন করতে এসে প্রায় ক্ষেত্রেই লেজেগোবরে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভেঙেছে সড়ক ও ঘরবাড়ি, ফাটল ধরেছে মসজিদের মেঝেতে। এরপরও কাংখিত সুফল পাওয়া যাবে না বলে অভিযোগ অভিজ্ঞ মহলের। এদিকে রেকর্ড অনুসারে খাল খনন করা যায়নি। সার্বিক বিবেচনায় বরিশাল নগরিতে খাল খননে প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যায়নি।
আগে প্রাপ্ত সরকারি হিসেবে দেখাগেছে, চাঁদমারী খাল ও রুপাতলী খাল খননের অগ্রগতি যখন ৮০ শতাংশ ছিলো তখন ভাটার খাল ও আমানতগঞ্জ খাল খননের অগ্রগতি ছিলো শূন্যের কোঠায়। একই সময় জেল খাল খননের অগ্রগতি ছিলো মাত্র ৭ শতাংশ। একটি সূত্র বলছে, জেল খাল খননের ঠিকাদার মুনিম খান কাজ পাবার পর প্রথমদিকে এ কাজ করতে চাননি। পরে ভবিষ্যত চিন্তা করে কাজে হাত দিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

অবশেষে মুখ খুললেন জেনারেল মইন ইউ আহমেদ

দখিনের সময় ডেস্ক: বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে এবার মুখ খুললেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদ। তদন্তে সরকারের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করলেন সাবেক এই সেনাপ্রধান।...

চাপে পড়ে রাধা-কৃষ্ণের পোস্ট মুছে ফেললেন বলিউড অভিনেত্রী

দখিনের সময় ডেস্ক: বলিউড অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার প্রোফাইলে ‘রাধা’-সাজের ছবিতে ভরপুর ছিল। এই কাজটিকেই জীবনের অন্যতম সেরা কাজ বলে অভিহিত করেছিলেন...

আওয়ামী শিবেরে হতাশা, নেতা-কর্মীরা দিশেহারা

দখিনের সময় ডেস্ক: আওয়ামী লীগ গত ২৩শে জুন ঘটা করে ৭৫ বছরপূর্তি পালন করেছিল। সেদিন ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল কানায় কানায়...

শিরিনের বিরুদ্ধে এবার বাড়ি দখলের অভিযোগ

দখিনের সময় ডেস্ক: সরকারি পুকুর দখলের ঘটনায় দলের পদ হারানোর পর ‍এবার অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিনের বিরুদ্ধে তিনতলা বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ২ কোটি...

Recent Comments