দখিনের সময় ডেস্ক:
রোববার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আটক রাখার খবরে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে আনসার সদস্যরা। পরে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আনসার সদস্যরাও পিছু হটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়েছে।
এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের ফেসবুক পোস্টে আটক রাখার বিষয়টি জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। পরে রাত ৯টায় তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে প্রায় ২০ জনের মতো শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরে শিক্ষার্থীদের তাড়া খেয়ে আনসার সদস্যরা সচিবালয় ছেড়ে পালিয়েছেন।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে থেকে পালিয়ে যান আনসার সদস্যরা। এর আগে ছাত্রদের ওপর গুলি করছে আনসাররা। রাজধানীর সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে অবরুদ্ধ আনসার সদস্যরা। আজ রোববার (২৫ আগস্ট) রাত পৌনে ১০টার দিকে আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এর আগে আনসারের বিভিন্ন দাবি মেনে নেওয়ার পরও বাহিনীটির একটি দল সচিবালয়ে অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টাদের আটকে রেখেছেন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করেছেন বলে ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এ সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ শিক্ষার্থীদের সচিবালয়ের সামনে যাওয়ার আহ্বান জানান। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলেই তাদের উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন আনসার সদস্যরা। হামলায় অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর শাহবাগ ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে গত দুদিন ধরে আন্দোলনে রয়েছেন আনসার সদস্যরা। গতকাল রবিবার বন্যার্ত মানুষের জন্য ত্রাণবহনকারী কয়েকটি ট্রাকও আটকে দেন তারা। একপর্যায়ে তাদের একাংশ বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঢুকে সেখানে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
পরে বিকেলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাদের ‘রেস্ট প্রথা’ বাতিল করে দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। তবুও আনসাররা চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে অনড় থাকেন এবং সচিবালয়ের ভেতরে কয়েকজন উপদেষ্টা ও সচিবসহ বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আটকে রাখেন। এ খবর পেয়েই শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের দিকে রওনা হন।
রাজধানীর সচিবালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক ও উপদেষ্টাদের আটক রাখার অভিযোগ উঠেছে আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে। তাদের উদ্ধারে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের ফেসবুক পোস্টে আটক রাখার বিষয়টি জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। পরে রাত ৯টায় তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
এর আগে, নিজের ফেসবুক আইডিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, আনসারদের দাবি মেনে নেওয়ার পরও সচিবালয় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এর জন্য তিনি আনসারের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হককে দায়ী করেন। একেএম আমিনুল হক সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের বড় ভাই।
পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, “সবাই ‘রাজু’তে আসেন। স্বৈরাচারী শক্তি আনসার হয়ে ফিরে আসতে চাচ্ছে। দাবি মানার পরও আমাদের সবাইকে সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়েছে।”বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোতাসিম বিল্লাহ মাহফুজ এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, উপদেষ্টা নাহিদ ভাইসহ হাসনাত ও সার্জিস ভাইকে সচিবালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিপথগামী কিছু আনসার সদস্য ও ছাত্রলীগের প্রেতাত্মারা। আমরা সবাই মিলে সচিবালয়ে মার্চ করে তাদেরকে মুক্ত করে নিয়ে আসব। সবাই যোগ দিন, বিষয় সবাইকে অবগত করুন, অতীব জরুরি।
Post Views:
76