দখিনের সময় ডেস্ক:
বরিশাল জেলা প্রশাসন কম্পাউন্ডে থাকা ১০টি অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। এসব দোকানে ষ্ট্যাম্প ভেন্ডাররা ষ্ট্যাম্প বিক্রি করতো। এ দোকানগুলো কোর্ট মসজিদের আওতাভুক্ত ছিল। ভেন্ডারদের অভিযোগ- তারা কোর্ট মসজিদের ভাড়াটিয়া। তারা নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করে আসছে। অথচ কোন প্রকার মৌখিক কিংবা লিখিত নোটিশ ছাড়াই দোকানগুলো ভেঙ্গে দেওয়া হলো।
রোববার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফর রহমান। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ শাখার কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী। উচ্ছেদে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা হলেন- মোঃ হারুন অর রশিদ, ওসমান গনি রাসেল, অমৃত লাল, ওয়াসিম খান, সিরাজুল ইসলাম, ফেরদৌসী বেগম, শামসুল হক, জাকির হোসেন, খাদেম হোসেন ও সৈয়দ আহমদ।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফর রহমান বলেন, বিভাগীয় কমিশনার স্যারের নির্দেশে জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ করছে। তবে কোন নোটিশ দেওয়া হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে কমিশনার স্যার অথবা ডিসি স্যার বলতে পারবেন।
ভুক্তভোগী ষ্ট্যাম্প ভেন্ডার ওসমান গনি রাসেল বলেন, আমরা দীর্ঘ বছর যাবৎ জেলা প্রশাসন থেকে লাইসেন্স নিয়ে এখানে ব্যবসা করছি। এই দোকানগুলো কোর্ট মসজিদের আওতায়। সেই মসজিদের সভাপতি ডিসি স্যার। আমাদের সমস্ত ভাড়া পরিশোধ আছে। অথচ কোন নোটিশ ছাড়াই ভেঙ্গে দেওয়া হলো। বরিশাল জেলা ষ্ট্যাম্প ভেন্ডার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেন, সারাদেশেই ষ্ট্যাম্প ভেন্ডাররা ডিসি কম্পাউন্ডে ব্যবসা করেন। আমরাও কোর্ট মসজিদের ভাড়াটিয়া হিসেবে আমাদের সমস্ত ভাড়া পরিশোধ করেছি। অথচ বিনা নোটিশে আকস্মিক অভিযানে ১০টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে করে ১০টি পরিবার পথে বসার উপক্রম হয়েছে। আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা না করে এভাবে হঠাৎ উচ্ছেদ করাটা অমানবিক। জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার স্যারকে পূণঃবিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রায়হান কাওছার বলেন- বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বললে ভালো জানতে পারবেন। উচ্ছেদের বিষয়ে তিনি ভালো বলতে পারবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, “কিসের নোটিশ দিব তাদের, তারা কি আমাদের প্রতিনিধি?”