Home নির্বাচিত খবর বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে স্ত্রী মিতু হত্যা মামলা বাতিলে আশঙ্কা

বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে স্ত্রী মিতু হত্যা মামলা বাতিলে আশঙ্কা

দখিনের সময় ডেক্স:

চট্টগ্রামে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় বর্তমানে দুটি মামলা চলমান রয়েছে। ফলে বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি আইনি জটিলতায় পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চট্টগ্রামের সিনিয়র আইনজীবীরা। এমনকি মামলাটি বাতিলও হয়ে যেতে পারে বলে তাদের ধারণা।

স্পর্শকাতর মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) মতামত নেওয়ার কথা। কিন্তু মিতু হত্যা মামলার ক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি। এতে আইনের ব্যত্যয় না ঘটলেও অনিয়ম হয়েছে বলে চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী গতকাল ইত্তেফাককে জানিয়েছেন। তবে এই অনিয়ম সংশোধনের সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিআইবির পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা দাবি করেন, প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করেই পিবিআই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আরিফুর রহমান বলেন, মিতু হত্যায় প্রথম মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন এখনো আদালত গ্রহণ করেননি। এমতাবস্থায় দ্বিতীয় একটি মামলা আইনি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। নিয়ম হচ্ছে, চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের বিষয়ে আদালত শুনানির দিন ধার্য করবেন যেখানে বাদী ও আসামি পক্ষ থাকবেন। এরপর আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করতেও পারেন আবার অধিকতর তদন্তের নির্দেশও দিতে পারেন। এটা আদালতের এক্তিয়ার। আমরা যদি সংক্ষুব্ধ হই তাহলে নারাজি দেব।

সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বলেন, মিতু হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া প্রথম মামলার তদন্তে যদি মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গিয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের সুযোগ ছিল। চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পরেও সাপ্লিমেন্টারি বা সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা যায়। অধিকতর তদন্তও হতে পারে। কিন্তু একই ঘটনায় দুটি এফআইআর কেমনে হয়। চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের আগে পাবলিক প্রসিকিউটরের মতামত নেওয়া প্রয়োজন ছিল। এখন বাবুল আক্তারের আইনজীবী নারাজি দাখিল করলে নতুন মামলাটি স্থগিত হয়ে যাবে। এজন্য একই ঘটনার দুটি এজাহার আইনি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, একে আইনের পরিভাষায় বলে রেসজুডিকাটা। বাবুলের করা মামলার তদন্তে যে দুজন বন্ধু সাক্ষী পাওয়া গেছে তাদের ওপর ভিত্তি করে বাবুলকে তার মামলায় বাদীর স্থলে আসামি করা যেত। বাবুলের শ্বশুর এসে নতুন মামলা করায় আইনগত জটিলতা সৃষ্টি হবে। এ কারণে পুরো মামলাটিই বাতিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। ২০১৬ সালের জুনে হত্যাকাণ্ডের পরপর বাবুল আক্তার নিজে বাদী হয়ে একটি মামলা করেন যার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গত ১২ মে আদালতে দাখিল করেছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে ৫২৭ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন এখনো আদালত গ্রহণ করেনি। এটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের একই দিনে (১২ মে) মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে আট জনের বিরুদ্ধে নতুন হত্যা মামলা করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

বাউফলে সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

নয়ন সিকদার, বাউফল প্রতিনিধি পটুয়াখালীর বাউফলে সড়ক প্রশস্তকরণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চোখের সামনে প্রকাশ্যে দিবালোকে নির্মাণকাজে নিম্মমানের উপকরণ ব্যবহার করায় ক্ষুদ্ব প্রতিক্রিয়া...

টিকটকে নিরাপদ রাখবে যে ১০ ফিচার

দখিনের সময় ডেস্ক: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে টিকটক। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে টিকটক। যেখানে ‘ফিডস’ নেটওয়ার্কের...

প্রতিদিন খেজুর খাবেন যে কারণে

দখিনের সময় ডেস্ক: আপনার কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য সুস্বাদু কোনো খাবার প্রয়োজন এবং সেইসঙ্গে অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইছেন? এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হতে পারে খেজুর।...

পরীমণি প্রথম স্বামীর পরদিন মারাগেলো প্রথম পরিচালক

দখিনের সময় ডেস্ক: লাইফ সাপোর্টে থেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’-এর পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল।  গুলশানের...

Recent Comments