দখিনের সময় ডেস্ক:
রাজধানীর গুলশানের একটি ভাড়া বাসা থেকে লাশ উদ্ধারের পর মোসারাত জাহান মুনিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার বাদী নুসরাত জাহান তানিয়াকে কারা উসকানি দিচ্ছেন, এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। মনে করা হচ্ছে, বাদী নুসরাতের পেছনে একাধিক ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ও ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য কিছু অসাধু ব্যক্তি যুক্ত হয়েছেন। তাদের বিষয়েও এরই মধ্যে খোঁজ-খবর নিতে শুরু করেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
নুসরাতকে উসকানি ও অর্থদাতাদের মধ্যে তাদের সন্দেহের তালিকায় প্রথমেই রয়েছেন চট্টগ্রামের আলোচিত হুইপপুত্র নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের নাম। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ভাড়া করা কিছু লোক দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করান শারুন। জানা গেছে, এতে শারুন মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। এমনকি সংবাদ সম্মেলন শেষে তার দেওয়া টাকার ভাগাভাগি নিয়ে আয়োজকদের মধ্যেও বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে। এ ছাড়া আশিয়ান সিটির মালিক মো. নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া মামলা চালিয়ে নিতে নুসরাতকে উৎসাহ দিচ্ছেন বলেও গোয়েন্দারা সন্দেহ করছেন।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, শারুনের পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী মুনিয়ার মৃত্যুর পর আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা করেন নুসরাত। তবে বিচার চাওয়া তার মূল উদ্দেশ্য নয়। নুসরাতের উদ্দেশ্য হলো মামলা করে ফায়দা হাসিল করা। মামলাটি করার পর নিজের ভুল বুঝতে পেরে একপর্যায়ে সেখান থেকে সরে আসার চেষ্টাও করেন বাদী নুসরাত। এ পরিস্থিতিতে তার সঙ্গে যুক্ত হন আশিয়ান সিটির মালিক নজরুল। তিনি দালাল নিয়োগ করে মামলা চালিয়ে নিতে নুসরাতকে উৎসাহ দিচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মূলত শারুন-নজরুল চক্রের চাপেই নুসরাত এখনো মামলাটি টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সন্দেহ।
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল বোন ও ভগ্নিপতির গুলশানে ভাড়া করা বাসা থেকে মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই রাতেই গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা হয়। ঘটনার কয়েক দিন পর গত ২ মে মুনিয়ার বড় ভাই আশিকুর রহমান সবুজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হত্যা মামলা করেন। দুটি মামলা মাথায় রেখে মুনিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ। পাশাপাশি ডিবি পুলিশ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনাটির ছায়া তদন্ত করছে।