দখিনের সময় ডেস্ক:
গরু কেনা থেকে শুরু করে হাসিল পরিশোধ এবং কসাইয়ের মজুরি দেয়ার পর কোরবানির মাংসের মূল্য দাঁড়ায় কেজি প্রতি প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। এই মাংসই হাত ঘুরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা দরে।
প্রতি বছর কোরবানি শেষে বিকেলের দিকে রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্থানে চোখে পড়ে এসব অস্থায়ী মাংসের হাট। এবারও দেখা গেল সেরকম কিছু চিত্র। শহরের অলিতে-গলিতে অস্থায়ী এ বাজারে খুব কম দামে মাংস বিক্রি হচ্ছে। মূলত সকাল থেকে ভিক্ষুক এবং গরিব-অসহায় মানুষেরা বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে যে মাংস সংগ্রহ করেছেন সেটাই তারা বিক্রি করছেন।
করোনার কারণে এবার মাংস সংগ্রহে অনেকটাই ভাটা পড়েছে বলে জানা গেল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বললেন, আগে যেখানে প্রায় সব বাড়ি থেকেই চাইলে মাংস পাওয়া যেত এবার ১০ বাড়ি ঘুরলে তিন বাড়ি থেকে মাংস পাওয়া যাচ্ছে। করোনার কারণে অনেকেই কোরবানি দেয়নি। আবার কোনো এলাকায় ঢুকতেও বাধা দেওয়া হয়েছে।
সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ীও। জুরাইন এলাকার এক ভ্রাম্যমাণ হালিম ব্যবসায়ী বলেন, দোকান থেকে মাংস কিনতে গেলে কেজি প্রতি কমপক্ষে ৫৮০ টাকা লাগে। তাই এ সময় কমদামে কিছু মাংস সংগ্রহ করে রাখছি। ঠিক একই কথা বললেন মধ্য বাড্ডার এক ভ্রাম্যমাণ কাবাব ব্যবসায়ী। তিনি কাবাবের মাংস হিসেবে এগুলো সংগ্রহ করে রাখছেন।
এদিকে, এসব মাংস মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছে চলে যাওয়ায় মাংসের মান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কারণ বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে বিভিন্ন রকমের মাংস একত্রিত করে বিক্রি করা হচ্ছে কেজি দরে। এমনিতেই আবহাওয়ায় ভ্যাপসা গরম বিরাজমান।
ছাব: বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর সৌজন্যে