ঝালকাঠি প্রতিনিধি ।।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেওড়া ইউনিয়নের কেওড়া গ্রামে গৃহবধু ও ঝালকাঠি সরকারি কলেজের অনার্স বিভাগের শিক্ষার্থী মোসা: সানজিদা আক্তার মিম (২০) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ঈদের পরদিন স্বামীর বাড়ির ঘরে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবী স্বামী এনামুল হক ডাকুয়া পরিবারের।
পুলিশ ঘটনার পর সানজিদা আক্তার মিমের ভাই মেহেদি হাসান কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ঝালকাঠির থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সানজিদা আক্তার মিম এর মৃতদেহ স্বামীগৃহের খাটে সায়িত অবস্থায় উদ্ধার করে এবং থানা পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে ময়না তদন্ত শেষে নলছিটির রানাপাশা গ্রামে পিতা মোঃ শাহ আলম হাওলাদার পরিবারের কাছে মৃত্যুদেহ হস্তান্তর করেন এবং পিত্রলয়ের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ঝালকাঠি থানার এসআই অচিন্ত কুমার পাল এই মামলাটি তদন্ত করছেন।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, এক বছর পূর্বে কেওড়া গ্রামের মোঃ শাহ আলম ডাকুয়ার পুত্র এনামুল হক ডাকুয়ার (২৫) সাথে নলছিটির রানাপাশা গ্রামে শাহ আলম হাওলাদারের কন্যা সানজিদা আক্তার মিমের সাথে পারিবারিক আয়োজনে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে সানজিদা স্বামীর সাথে শশুরবাড়ি থাকতেন মাঝে মধ্যে শহরে বসবাসকারী স্বামীর বোনে বাসায় থাকতেন। মিম স্বামীকে নিয়ে তার পিত্রালয় ঈদের দিন প্রথমবারের মতো স্বামীকে নিয়ে যাওার বায়না করেন। কিন্তু স্বামী ঈদের পরদিন যাবে বলে ওয়াদা করেন। কিন্তু না যাওয়ায় এই দিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান স্বামী ওয়াদা পুরণ না করায় স্বামীর উপর সংক্ষুদ্ধ হয়ে আত্মহত্যা করে। তার শরীরে কোন ধরনের আঘাতের চিহ্ন ছিল না। ময়না তদন্ত রিপোর্টে প্রকৃত মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে, প্রাথমিকভাবে স্বামীর সাথে কোন পরকিয়া ঘটনা রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে সানজিদার পরিবারে পক্ষথেকে দাবী করা হয় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী এনামুল হক এবং হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য সানজিদার দাফন ও ময়না তদন্তসহ কোন কাজেই স্বামী উপস্থিত ছিল না বো কোন ধরণের সহমর্মীতা দেখান নাই।