দখিনের সময় ডেস্ক:
মনির খান ওরফে দর্জি মনির। নিপুণ হাতে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া কাজে লাগিয়েছেন পরতে পরতে। তবে তা কোনো ভালো কাজে নয়, স্রেফ প্রতারণা। ব্ল্যাকমেইলের ফাঁদ হিসেবে তিনি গড়ে তুলেছিলেন ‘বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন। হয়েছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
মনিরের ফেসবুক ঘাঁটলেই নজরে পড়বে প্রধানমন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে তার ওঠাবসার ছবি! কোনো ছবিতে একান্তে কথা বলছেন সরকারের সিনিয়র কোনো মন্ত্রীর সঙ্গে, কোনোটাতে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছাকাছি বসে আছেন। কিন্তু সবই ভুয়া। প্রতিটি ছবিই তার নিপুণ হাতে ফটোশপের কারসাজিতে করা; যা খালি চোখে দেখে বোঝার উপায় নেই।
প্রতারণায় সিদ্ধহস্ত এই দর্জি মনির বিশিষ্টজনদের সঙ্গে ছবি তুলেই ক্ষান্ত দেননি। বিশেষ বিশেষ দিনে নিজেই মন্ত্রী-এমপিদের বাণী লিখে তাতে জাল স্বাক্ষর দিয়ে প্রচার করে বেড়াতেন। জমির দালালি থেকে তদবির বাণিজ্য- কী করেননি এই প্রতারক। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক উপকমিটির কথিত সদস্য মনির খান ওরফে দর্জি মনিরকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে তাকে আটক করা হয় বলে মনিরের স্বজনরা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল মনিরকে আটক করে নিয়ে যায়। তবে কী অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে তা তারা জানেন না। আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যপদ থেকে সম্প্রতি অব্যাহতি দেওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীরকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শেষ না হতেই আলোচনায় এলেন দর্জি মনির। তার সঙ্গে হেলেনা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানা গেছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ আমাদের সময়কে বলেন, ‘মনির খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’