চেয়ারম্যানকে গলদঘর্ম হবার কোন কারণ নেই: গফফার খান

খালিদ সাইফুল্লাহ :

ইউনিয়ন পরিষদের জনবল কাঠামো বিধি মোতাবেক ব্যবহার করা হলে চেয়ারম্যানকে গলদঘর্ম হবার কোন কারণ নেই। বরং যে বিধিবিধান রয়েছে তাতে ইউনিয়ন পরিষদ প্রকৃত অর্থেই স্থানীয় সরকার হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে। মানব উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেছি। ফলে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করতে তেমন অসুবিধা হচ্ছে না।

দৈনিক দখিনের সময়-এর সাথে সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ৫ নং সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আ: গফফার খান। ২১ জুন অনুষ্ঠিত র্নিবাচনে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। এটিই তার প্রথম ইউপি নির্বাচন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। এর আগে আমার চাচা দুই টার্ম ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। বিশ বছর আগেই আমার ইউপি নির্বাচনে অংশ নেবার কথা ছিলো। কিন্তু সেবার আমার মামা মিজানুর রহমান নির্বাচন করার আমি বিরত থাকি। উল্লেখ্য, মো: আ: গফফার খান বিএ, এলবি।

এবারের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে মো: আ: গফফার খান বলেন, এ বিজয় ব্যক্তিগত কোন বিষয় নয়। এ হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রতি জনসমর্থনের প্রতিফলন। আর যেকোন নির্বাচনে ব্যক্তিগত পরিশ্রম ও পারিবারিক প্রভাব তো থাকেই। পারিবারিকভাবে আমরা জনসম্পৃক্ত, আমাদের ব্যাপারে মানুষের কোন এলার্জি নেই। আমরা এলাকার কোন হিংসা-প্রতিহিংসার সঙ্গে জড়িত নই। আমরা পারিবারিকভাবে কারো সাথে বিরোধে জড়াই না। আর আমার পেশাগত কাজও হচ্ছে মানব উন্নয়ন নিয়ে। ফলে আমার বিগত দিনের কাজ এবং বর্তমান দায়িত্বের মধ্যে কোন বৈপরিত্য নেই, বরং পরিপূরক। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ প্রকৃত অর্থেই স্থানীয় সরকার। এ পরিষদের মেম্বারদের নেতৃত্বে ১৩টি স্টিয়ারিং কমিটি রয়েছে এ কমিটিতে দ্বিতীয় ব্যক্তি হচ্ছেন সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এ স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য। গ্রাম পুলিশ রয়েছেন ৯ জন, একজন দফাদার আছেন। অফিসে একজন সচিব রয়েছেন। একাউন্টট্যান্টও আছেন। ত্রান দেবার জন্য ট্যাগ অফিসার থাকেন। ইউনিয়নের নানান কাজ করার জন্য কেয়ারের প্রশিক্ষিত কর্মীরা রয়েছেন। আর যারা দলীয় মনোনয়নে নির্বাচিত হন তাদের সঙ্গে দল থাকে। কাজেই বিধিমোতাবেক কাজ করলে চেয়ারম্যানদের কোন অসুবিধা হবার কোন কারণ নেই।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আ: গফফার খান বলেন, চেয়ারম্যান বিধি মোতাবেক কাজ করলে কোন অসুবিধা হবার কোন সুযোগ নেই। আর সংস্থার প্রধান হিসেবে চেয়ারম্যান কোন অনৈতিক কাজে না জড়ালে অন্য কেউ অনৈতিক সুবিধা নিতে সাহস পায় না। কিন্তু চেয়ারম্যান অনৈতিক কাজ করলে অন্যের অনৈতিক প্রত্যাশা এবং প্রবণতা বেড়ে যায়। আর তখন দেখা দেয় নানান বিপত্তি।

এক প্রশ্নের উত্তরে চেয়ারম্যান মো: আ: গফফার খান বলেন, অপিরিকল্পিত স্লুইজ গেটের ফলে খালের পানি প্রবাহ কমেছে, নৌকাচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এগুলো অপসারণ করা প্রয়োজন। উন্নয়নের নামে স্লুইজ গেট নির্মাণ করার পরিবর্তে বেড়িবাধ সংস্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আ: গফফার খান।