দখিনের সময় ডেস্ক :
বরগুনার পাথরঘাটার রূহিতা গ্রামে ধর্ষণের শিকার ১৩ বছর বয়সি এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশু ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিশুটির মা বাদী হয়ে শনিবার দুপুরে পাথরঘাটা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। খলিল (৪৫) বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের রূহিতা গ্রামের ছালাম ওরফে মিষ্টি ছালামের ছেলে। খলিল পেশায় শুটকি ব্যবসায়ী।
শিশুটির মা বলেন, গত কয়েকদিনে আমার মেয়েটির শারীরিক পরিবর্তন দেখে তার কাছে এ অবস্থার কারণ জানতে চাই। তখন শিশু কন্যা আমাকে সব কিছু খুলে বলে এবং সে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার জন্য খলিল দায়ী বলে জানায়।
পরবর্তীতে স্থানীয় বাসিন্দা ও সুশীলন নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার লোকের পরামর্শে ডাক্তার দেখাই। এ সময় জানতে পারি আমার মেয়ে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
শিশুটির মা আরও বলেন, সম্ভাব্য চলতি বছরের ৫ মার্চ রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ঘরের পাশে ছাগল ডাকার শব্দ শুনে ঘরের বাইরে বের হয় ১৩ বছরের ওই শিশু। এ সময় তাকে জোর করে মুখ বেঁধে ঘরের পাশে একটি পরিত্যক্ত (শুকনো) ডোবায় নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণ শেষে শুটকি ব্যবসায়ী খলিল ওই শিশুকে শাসিয়ে বলে, ‘এ কথা যদি কাউকে বলো তবে তোকে ও তোর মাকে খুন করে ফেলবো।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে খলিলের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার বলেন, ভিকটিমের মা বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।