দখিনের সময় ডেক্স:
মাদকযোগে গ্রেফতার হয়েছে রিয়া চক্রবর্তী। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও বহু তারকার নাম জড়িয়েছে ড্রাগ চক্রে। এঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন বলিউড তারকা মমতা কুলকার্নি। ২০১৬ সালে মাদক চক্রে নাম জড়িয়েছিল তাঁর।নব্বইয়ের দশকে পুরুষের হৃদয়ে ঝড় তুলেছিলেন বলি অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। নব্বইয়ের দশকে ট্রান্সপারেন্ট থেকে টপলেস- সব কিছুতেই আগুন জ্বালিয়েছিলেন মমতা। তার শরীরী জাদুতে বশ হয়েছিলো হাজারো পুরুষ!
২০১৬-র এপ্রিলে মুম্বইয়ের কল্যাণে মাদক ব্যবসায়ী এক নাইজিরিয় নাগরিককে গ্রেফতার করেছিল মুম্বই পুলিশ। তাঁকে জেরা করে মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে একটি ওষুধ সংস্থার কারখানা থেকে প্রায় সাড়ে ১৮ টনের মাদক এফেড্রিন বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। ওই মাদকের বাজারদর ছিল প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। তদন্তে ধরা পড়ে, যে চক্র ওই মাদক ভারতে পাচার করেছে, সেটি চালান মমতা কুলকার্মি এবং তাঁর স্বামী। তিনি ছিলেন কেনিয়ার অন্যতম মাদক চোরাচালানকারী ভিকি গোস্বামী।
সেই সময়ে তদন্তে নামে আমেরিকার ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট বিভাগ। সেই সূত্রে ভারতীয় গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ওই মাদক কীভাবে ভারতে পাচার হবে তা নিয়ে কেনিয়ায় মমতা এবং ভিকির সঙ্গে একটি বৈঠক হয়েছিল ডক্টর আবদুল্লা নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর। একটি মাদকের কারখানা গড়ার চেষ্টা করছিলেন আবদুল্লা। ওই বৈঠকে তা নিয়েও তিনজনের আলোচনা হয়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছিল, সংস্থাটির ১১ লক্ষ শেয়ারের মালিক মমতা।
সোলাপুরে যে পরিমাণ মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল, তা এ দেশের তুলনায় বিপুল ছিল। তবে এই প্রথম নয়। ২০১৪ সালে একটি আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সদস্য অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ভিকিকে। তখনও সামনে এসেছিল মমতার নাম।