দখিনের সময় ডেস্ক :
কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননা ও শহরে সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় মোট চারটি মামলা করেছে।
এ ঘটনায় মোট ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার মূল হোতাকে চিহ্নিত করতে কাজ করছে পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।
কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ারুল আজিম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বুধবারের ঘটনায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে এবং সহিংসতার ঘটনার অভিযোগে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই চারটি মামলায় এ পর্যন্ত ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার পর চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন। এদিকে নগরীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চার প্লাটুন বিজিবি ও এপিপিএনসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত বুধবার ভোরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর আসে যে, নগরীর নানুয়ার দিঘির পাড়ে পূজামণ্ডপের ভেতরে প্রতিমার পায়ের ওপর একটি কোরআন রাখা আছে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ সেখান থেকে কোরআনটি উদ্ধার করেন।
কিন্তু ১০টা নাগাদ একটি ছবি ব্যাপক ভাবে সামাজিকমাধ্যমে ছড়াতে থাকে, যেখানে দেখা যায় প্রতিমার হাঁটুর ওপর কোরআন রাখা আছে। অনেকে এটি দিয়ে নানান ধরনের লাইভ বক্তব্য দিয়ে কোরআন অবমাননার অভিযোগ করতে থাকেন। খবরটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় অনেকে প্রতিবাদ করতে শুরু করেন।