দখিনের সময় ডেস্ক :
শীতকাল শুরুর আগেই দেশে দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। জনসংখ্যার বড় একটি অংশ করোনা টিকার পূর্ণ ডোজ নেয়ার পরও সিঙ্গাপুর ও চীনে শনাক্ত বেড়েছে। অন্যদিকে, রাশিয়াতেও পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।
মোট জনসংখ্যার ৮৪ শতাংশ মানুষ টিকা নেয়ার পরও সিঙ্গাপুরের করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। সরকারি হাসপাতালগুলোতে মাত্র ৬০টি আইসিইউ বেড ফাঁকা রয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য সীমান্ত খুলে দিলেও সিঙ্গাপুরে বসবাসরতদের জন্য বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে নভেম্বর পর্যন্ত। এছাড়া একসঙ্গে দুইজনের বেশি মানুষের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এদিকে, চীনেও নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে। গেল ১০ দিনে ২৫০ জন শনাক্ত হয়েছে দেশটিতে। অন্তত ১১টি প্রদেশে গণহারে করোনা পরীক্ষা করছে কর্তৃপক্ষ। গানসু প্রদেশের লানঝু শহরে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। লানঝুতে বাস, ট্রেন ও গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। ৪০ লাখ মানুষের শহরটিতে ফ্লাইট চলাচলও বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।
আগামী রবিবার বেইজিং ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও অনির্দিষ্টকালের জন্য তা স্থগিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, রাশিয়ায় ৬ সপ্তাহ ধরে শনাক্তের হার উর্ধ্বমুখী। প্রায় প্রতিদিনই মৃত্যুর রেকর্ড করছে দেশটি। মস্কোর হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে।
টিকা নিতে নাগরিকদের অনাগ্রহকেই দায়ী করা হচ্ছে করোনা পরিস্থিতির অবনতির জন্য। দেশটির মাত্র ৩৩ শতাংশ মানুষ করোনার টিকা নেয়ায় সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাইবেরিয়াসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সেই অনুযায়ী নেই হাসপাতাল। এরইমধ্যে ৩০শে অক্টোবর থেকে ৭ই নভেম্বর পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।