জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব নিতে হবে বিশ্বকে: প্রধানমন্ত্রী

দখিনের সময়  ডেস্ক :

বন্যা-খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনায় বাস্তুচ্যুত জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে বিশ্বকে। বুধবার (৩রা নভেম্বর) স্কটিশ পার্লামেন্টে দেয়া বক্তব্যে এমনটাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে, এডিনবরায় স্কটিশ পার্লামেন্টে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান স্পিকার অ্যালিসন জনস্টোন। পার্লামেন্টের কমিটি কক্ষে ‘আ বাংলাদেশ ভিশন ফর গ্লোবাল ক্লাইমেট প্রসপারিটি’ শিরোনামে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এমসিপিপি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য কিছু প্রস্তাবনাও পেশ করেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদী ভাঙ্গন, বন্যা, খরার মতো প্রাকৃতিক ঘটনায় বাস্তুচ্যুত জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব অবশ্যই সকলকে ভাগ করে নিতে হবে। এছাড়া প্রধান কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলোকে ব্যাপক ভিত্তিক এনডিসি পেশ এবং বাস্তবায়ন করতে হবে। উচ্চমাত্রায় কার্বন প্রশমনের চেষ্টা ছাড়া শুধুমাত্র অভিযোজন ব্যবস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবকে ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতির বিষয়টি অবশ্যই সঠিকভাবে সমাধান করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, উন্নত দেশগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ওপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের ব্যাপারে তাদের অঙ্গীকার অবশ্যই পূরণ করতে হবে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে কোনো দেশই মুক্ত নয়। কার্যকর ও পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়নই হতে পারে সমৃদ্ধি অর্জনের মূল চাবিকাঠি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের পাশাপাশি সবুজ জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের লক্ষ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়াও সর্বশেষ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সাশ্রয়ী মূল্যে সবুজ প্রযুক্তির প্রসারের পরামর্শ দেন, যাতে মুজিব জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।