কিশোরী মেয়েকে দিয়ে মা-বাবার দেহ ব্যবসা, বোনের জিম্মায় ফের ধর্ষণ!

কাজী হাফিজুর রহমান:

মা-বাবার কাছে কন্যা থাকে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। কিন্তু এই মা-বাবাই কিশোরী কন্যাকে বাধ্য করেছে দেহ ব্যবসায়। কিশোরীর তথ্য মতে দেহ বিক্রির নামে এক মধু ব্যবসায়ীর দ্বারা সে ধর্ষিত হয়েছে ১২৫ বার। এ ব্যাপারে দায়ের করা মামলায় মা-বাবা ও ধর্ষক মধূ ব্যবসায়ীকে হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত এবং কিশোরীকে দিয়েছেন বোনের জিম্মায়। কিন্তু সেখানেও ধর্ষিত হয়েছে চরম হতভাগ্য এই কিশোরী! এ ঘটনা বরিশালে।

বরিশাল নগরীতে মা-বাবা কর্তৃক দেহ ব্যবসায় বাধ্য হওয়ার কিশোরী আদালতের নির্দেশে বোনের জিম্মায় থাকাকালে ২২ নভেম্বর ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ অভিযোগ ভুক্তভোগী কিশোরী বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছে। অভিযুক্ত ধর্ষক ফয়সাল হাওলাদার পলাতক রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বিচারককে কিশোরী তার দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছে, বাবা-মা দেহ ব্যবসার কাজে বাধ্য করত। এ অভিযোগে মামলা করলে আদালত ১৪ নভেম্বর কিশোরীকে বোনের হেফাজতে দেন। এরপর থেকে এই কিশোরী নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাড়িতে অবস্থান করছিল। ২২ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে ফয়সাল হাওলাদার  নামে এক ব্যক্তি কিশোরীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে।

এর আগে গত ১৪ নভেম্বর কিশোরী বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে গিয়ে বাবা-মা চাপ প্রয়োগ করে যৌনকর্মীর কাজ করাচ্ছেন বলে অভিযোগ দেন। অভিযোগে ওই কিশোরী জানান, বাবা-মায়ের সহযোগিতায় আনোয়ার হোসেন নামের একজন মধু ব্যবসায়ী তাকে ১২৫ বার যৌন নির্যাতন করেছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কমিশনার কোতোয়ালি থানা পুলিশকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিশোরীর বোন বাদী হয়ে বাবা-মা ও আনোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাবা, মা ও মধু ব্যবসায়ী আনোয়ারকে গ্রেফতার করে। এরপর আদালতের নির্দেশে কিশোরীকে বোনের হেফাজতে দেওয়া হয়।

এদিকে একটি সূত্র বলছে, ঘৃন্য অপরাধের সঙ্গে ‘জিম্মাদার’ বোনও জড়িত থাকতে পারে। একই সূত্র বলছে, পুরো পরিবারই দীর্ঘ দিন ধরে দেহব্যবসায় জড়িত থাকা বিচিত্র কিছু নয়। আর মা-বাবর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে কিশোরীকে বড় বোনের কবজায় নেবার কৌশল হিসেবে। সূত্র বলছে, ব্যাপারেেএ ব্যাপারে গভীরভাবে তদন্ত প্রয়োজন।