দখিনের সময় ডেস্ক:
গভীর সংকটে নিপতিত হয়েছে কাজাখাস্তানের রাজনৈতিক অবস্থা। জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে গুলির নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কোনও রকম সতকর্তা জারি ছাড়াই দেশটির প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমরাত তোকায়েভ সামরিক বাহিনী এই নির্দেশ দেন। জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে তিনি এই নির্দেশ দেন। খবর সূত্র: বিবিসি।
কাজাখাস্তানের প্রেসিডেন্ট বলেন, আবার যদি দাঙ্গাকারীরা কোনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাহলে তাদেরকে ধ্বংস করা হবে। এদিকে, এরই বিক্ষোভকারীদের দাঙ্গায় কয়েক ডজন মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে অন্তত ১৮ জন পুলিশ রয়েছে। একজনের মরদেহ মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে। এছাড়া, আহত হয়েছে প্রায় এক হাজার মানুষ।
বিক্ষোভকারীরা কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় শহর আলমাতির মেয়র ভবনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুন দিয়েছেন। পুড়িয়ে দিয়েছে বহু গাড়ি। সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে তিন দশক আগে স্বাধীনতা অর্জনের পর এই প্রথম কাজাখস্তানে নজিরবিহীন সংকট ও দাঙ্গার ঘটনা ঘটলো। কাজাখ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এরইমধ্যে ২৬ জন সশস্ত্র অপরাধী মারা গেছে এবং তিন হাজারের বেশি গ্রেফতার হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, শুক্রবার সকালে আলমাতি শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। ওই এলাকায় বৃহস্পতিবার সেনা এবং দাঙ্গাকারীদের সংঘর্ষ হয়। কাজাখ প্রেসিডেন্ট তোকায়েভের অনুরোধে রাশিয়া দেশটিতে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠিয়েছে।