দখিনের সময় ডেস্ক:
দণ্ডিত আসামির পরিবর্তে তার খালাতো ভাইকে দিয়ে যাবজ্জীবন কারাভোগ করানোর মামলায় আইনজীবীর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শুক্রবার(৪ ফেব্রুয়ারী) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব শুনানি শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া আইনজীবীর নাম অ্যাডভোকেট শরীফ শাহরিয়ার সিরাজী।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) আবু সাঈদ চৌধুরী ওই আইনজীবীকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামির পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। যাকে দিয়ে সাজা ভোগ করানো হচ্ছিল সেই মো. হোসেনের গত বুধবার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্যের রূপ ধারণ করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলায় এ রিমান্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর রাজধানীর কদমতলী এলাকায় হুমায়ুন কবির নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় বড় সোহাগসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় ২০১০ সালে গ্রেপ্তার হন বড় মো. সোহাগ। ২০১৪ সালে জামিনে গিয়ে পলাতক হন তিনি। ২০১৭ সালে বড় সোহাগসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। পরের বছর নিজ মামাতো ভাই হোসেনকে বড় সোহাগ পরিচয় দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করান। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে সম্প্রতি প্রকৃত অপরাধী বড় সোহাগ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন।
গত মঙ্গলবার বড় সোহাগ ও হোসেনকে ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় জন্য বিচারক জেসমিন আরা বেগম বড় সোহাগ, মো. হোসেন ও তাদের দুই আইনজীবী শরীফ শাহরিয়ার সিরাজী ও ইব্রাহিম হোসেনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) আদেশ দেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় এ মামলা করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আত্মসমর্পণ করা আসামি প্রকৃত আসামি নয় জেনেও তাকে মিথ্যা ব্যক্তির মাধ্যমে প্রকৃত আসামি সাজিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে নথি উপস্থাপনের দরখাস্ত, জামিনের দরখাস্ত ও ওকালতনামায় জাল দরখাস্ত দিয়ে তা সঠিক বলে দাবি করেন।