দখিনের সময় ডেস্ক:
পাঁচ বছর আগে ‘গুমের পর খুন’ হয় রিপর। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শেষে এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। কিন্তু আদালত তা গ্রহণ করেননি। নিখোঁজ রাকিবকে খুঁজে বের করার নিদের্শ দেন আদালত। অবশেষে ‘নিহত’ রাকিবে জীবিত পাওয়াগেলো। শুধু তাই নয়, সে নতুন করে বিয়ে করে ঘরসংসার করছিলো।
ছেলেকে গুমের পর খুন করা হয়েছে’, এমন অভিযোগে পাঁচ বছর আগে মামলা করেছিলেন রাকিবুজ্জামান রিপনের বাবা। অথচ সেই রিপনকে জীবিত আটক করলো পুলিশ। ২০ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার পিবিআইয়ের একটি দল সেখানে অভিযান চালিয়ে রাকিবকে গ্রেপ্তার করে। আজ মঙ্গলবার(২২ ফেব্রুয়ারী) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার শহীদ আবু সরোয়ার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
রিপন মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভীপুর (দত্তপাড়া) গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে। পাশের ভরাট গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে শ্যামলী খাতুনকে বিয়ে করার পর শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন তিনি। ২০১৭ সালের ৮ জুলাই বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন রাকিব। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
ছেলেকে না পেয়ে মেহেরপুর আদালতে (২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর) রাকিবের স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও চাচা শ্বশুরকে আসামি করে খুন ও গুমের মামলা করেন তার বাবা মনিরুল ইসলাম। আদালত পুলিশকে রাকিবের খোঁজ বের করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে রাকিবের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি জানিয়ে ২০২০ সালের ১ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
আদালত পুলিশের আবেদন খারিজ করে ২০২০ সালের ১১ মার্চ কুষ্টিয়া পিবিআইকে রাকিবের খোঁজ বের করে প্রতিবেদন দাখিলের নিদের্শ দেন। এরপর কুষ্টিয়া পিবিআই তদন্ত করে রাকিবের খোঁজ বের করে।
রাকিব তার নাম পরিবর্তন করে শরিফুল ইসলাম নাম গ্রহণ করে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর এলাকায় ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানে টেকনিশিয়ান পদে চাকরি করে আসছিলেন। রাকিবের আইডি কার্ডে নতুন পরচিল ছিল শরিফুল ইসলাম। বাবার নাম শহিদুল ইসলাম, মায়ের নাম বেদানা বেগম, গ্রাম গোভিপুর, থানা ও জেলা মেহেরপুর। এই পরিচয়ে রাকিব আরেকটি বিয়ে করেন। যেখানে ৬ মাস বয়সী একটি ছেলেও রয়েছে।