দখিনের সময় ডেক্স:
চাকরি জীবনে দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার বসুকে বসানো হয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে। দেয়া হয়েছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা মেট্রোপলিটন জোনের দায়িত্ব। দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় প্রদীপ কুমার বসু ইনক্রিমেন্টও বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। অভিযোগ জমা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনেও। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই নানা আলোচনা চলছে পূর্ত ভবনে।
পদোন্নতি পেয়েই সমালোচিত হয়েছেন স্বর্ণ চোরাচালান ও প্লট জালিয়াতি মামলার আসামি সাবেক যুবদল নেতা মনির হোসেনের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক অভিনন্দন পাওয়ায়। প্রদীপ কুমার বসুর পদায়নের পর গোল্ডেন মনিরসহ অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারের যাতায়াতও বেড়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। আলোচিত এই কর্মকর্তা গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত থাকার সময় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান তৈরির দায়িত্বে ছিলেন। তখন ওই প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে।
প্রকল্পের বাউন্ডারি ওয়াল, মাটি ভরাট, ভবনের ছাদ, ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, রিজার্ভ ট্যাঙ্কের কাজ না করিয়ে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করেন প্রদীপ কুমার। এছাড়া ওই প্রকল্পে সোলার প্যানেল স্থাপনেও ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি ধরা পড়ে। এ কারণে ২০১৬ সালের ২রা অক্টোবর তাকে প্রথমে কারণ দর্শাও নোটিশ দেয়া হয়। পরে এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ মিললে প্রদীপকে সাময়িক বরখাস্ত করে পূর্ত মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও করা হয়। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই প্রদীপ কুমার বসুকে আবারও চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়।
এতো অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করেই গত ১৪ জুলাই এই কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে গণপূর্তের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদায়ন করা হয়েছে। এই পদ পেতে মোটা অংকের টাকাও ঘুষ দেয়ার খবরও প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। প্রশ্ন উঠেছে বিতকিত এই কমকতা কিভাবে এতো বড় পদ পেলেন!