নিজস্ব প্রতিবেদক
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল জাহিদ ফারুক শামীম বলেছেন, হাওরের গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুষ্ক মৌসুমে সম্পাদন করতে হবে। ভারতের মেঘালয় ও বরাক বেসিনে একই সময় বৃষ্টিপাত হলে সেই পানির চাপে এই অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই প্রয়োজনীতার নিরিখে শাখা নদী ড্রেজিং করে নাব্যতা বৃদ্ধি করে বর্ষায় এর পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। পানির রিজার্ভার সৃষ্টি করতে হবে। যাতে করে শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদ ব্যবহার করা যায়।
আজ বৃহস্পতিবার(২৪ ফেব্রুয়ারী) সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক, ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জ উপজেলার সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা-২০১৭ এর আওতায় বিভিন্ন হাওরে চলমান ডুবন্ত বাঁধের মেরামত/পুন:নির্মান কাজ পরিদর্শন করেন কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জের বটেরখাল এর ডান তীরের ভাঙ্গন পরিদর্শন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল জাহিদ ফারুক শামীম । এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যায় ধীরে ধীরে পলি পড়ে নদীর ও হাওরের তলদেশ উঁচু হওয়ায় পানি নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সহসা সাগরে চলে যেতে পারে না এবং হাওরে পর্যাপ্ত পানি রিজার্ভ থাকছে না । তিনি বলেন, হাওর বাঁচাতে হলে নদী খনন করতে হবে। নদীগুলো খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে না আনলে শুধু বাঁধ দিয়ে হাওরের ফসল রক্ষা করা দুরুহ হয়ে যাবে। প্রতিমন্ত্রী বরেন, শুধু প্রাকৃতিক কারণ নয় মানবসৃষ্ট কারণেও হাওরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
Post Views:
51