Home আন্তর্জাতিক পশ্চিমা নেতাদের ফাঁকা আওয়াজ, ইউরোপীয় ইতিহাসের বাঁক পরিবর্তনের সম্ভাবনা

পশ্চিমা নেতাদের ফাঁকা আওয়াজ, ইউরোপীয় ইতিহাসের বাঁক পরিবর্তনের সম্ভাবনা

দখিনের সময় ডেস্ক:

পশ্চিমা বিশ্বের কড়া হুশিয়ারী পাত্তা না দিয়ে বৃহস্পতিবার(২৪ ফেব্রুয়ারী) ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা চালায় রুশ বাহিনী। শুক্রবার  দ্বিতীয় দিনে রাজধানী কিয়েভেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। আজ শনিবার(২৬ ফেব্রুয়ারী) রাজধানী অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে রুশ বাহিনী। এ অবস্থায় ইউক্রেনের বেসামরিক মানুষ প্রতিমুহূর্তে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, পালাচ্ছেন অনেক মানুষ।

রুশ হামলার আগে পশ্চিমের নেতৃবৃন্দ যে এত বড় বড় কথা বলেছেন এখন রুশ আগ্রাসন রুখতে তারা কী করছেন? তারা কি পারবেন পুতিনের পরবর্তী পদক্ষেপ থামাতে? বরং কথিত বিশ্ব নেতারা এখন অন্য আশংকায় ভুগছেন।

ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় হস্তক্ষেপ করেছে রাশিয়া। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেছেন, এই হামলা ইউরোপের ইতিহাসের বাঁক পরিবর্তন করে দেবে। ইউরোপীয় কমিশনের নেতৃবৃন্দ বলছে, ইউরোপে আবারও যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিয়েছেন পুতিন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা কী দেখছি। ইউক্রেনের জনগণের জন্য প্রার্থনা, নিষেধাজ্ঞা আর কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ…।

প্রশ্ন হলো, পুতিনের পরবর্তী পদক্ষেপ রুখে দিতে পশ্চিমাদের এসব পদক্ষেপ কি যথেষ্ট? গোয়েন্দা তথ্য বলছে সেই সম্ভাবনা বেশ কম। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, আমরা ইউক্রেনের জনগণের সঙ্গে আছি। কিন্তু এই একাত্মতা এই মুহূর্তে ইউক্রেনের জন্য কতটা কাজে আসবে।

মার্কিন নেতৃত্বাধীন ৩০ জাতির সামরিক জোট ন্যাটো নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে যে, জোটের সদস্য না হওয়ায় ইউক্রেন রক্ষায় তারা কোনো সেনা পাঠাবে না। এর পরই রাশিয়াকে রুখতে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞাই একমাত্র ভরসা। এ ছাড়া কিছু দেশ হয়তো ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে পারে। পরিস্থিতি এমন যে- রাশিয়া একদিকে ইউক্রেনের একের পর এক শহরে হামলা চালাচ্ছে আর ওয়াশিংটন, লন্ডন, বার্লিন আর ব্রাসেলস যুগপৎ নিষেধাজ্ঞা আরোপের হিসাব কষছে।

এসব নিষেধাজ্ঞা মূলত রুশ অর্থনীতিকে চাপে ফেলা, প্রযুক্তিকে কোণঠাসা এবং রুশ কর্মকর্তাদের ভ্রমণসংক্রান্ত। কিন্তু বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে যে আগ্রাসন চালিয়েছে পুতিন তার খরচ ধরে রেখেছেন ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু এই খরচের অনেকটাই তিনি পুষিয়ে নেবেন তেল বিক্রি করে। কেননা হামলার শুরুর পরই ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার করে তেলের দাম বেড়েছে। এ কারণে বলা হচ্ছে, ৫ বছর আগের তুলনায় রাশিয়াকে পশ্চিমাদের ওপর কম নির্ভরশীল। বরং জ্বালানিসহ অনেক কিছুতেই ইউরোপের অনেক দেশ রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া গত কয়েক বছরে পুতিনের নিজের ক্ষমতা আরও সংহত করেছেন। সেখানে তিনিই সর্বেসর্বা। এ কারণে রুশ কূটনীতিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পরিস্থিতি কতটা বাগে আনা যাবে তা নিশ্চিত নয়।

লন্ডনভিত্তিক একজন কূটনীতিক চলতি সপ্তাহের রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা বৈঠক সম্পর্কে বলেছিলেন, পুতিনের অভ্যন্তরীণ বলয় সম্পর্কে আমরা আলোচনা করে থাকি। কিন্তু এখানে কোনো অভ্যন্তরীণ বলয় নেই।

প্রতিবেদন: বিবিসি অবলম্বনে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

চীনের সবচেয়ে ধনী টিকটকের প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইমিং

দখিনের সময় ডেস্ক: টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইমিং (৪১) চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তালিকার শীর্ষ স্থান দখল করেছেন। বর্তমানে তার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ...

প্রতিদিন ডিম খাওয়া কি হার্টের জন্য ভালো?

দখিনের সময় ডেস্ক: প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিমকে সবচেয়ে উপকারী এবং পুষ্টিকর খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি যুগ যুগ ধরে মানুষের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যুক্ত রয়েছে। ডিম...

মানবাধিকার কর্মী মিনা ফারাহকে জামায়াত আমিরের ফোন

দখিনের সময় ডেস্ক: বিশিষ্ট কলামিস্ট, অনলাইন এক্টিভিস্ট ও মানবাধিকারকর্মী মিনা ফারাহকে ফোন করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় তিনি বাংলাদেশের কঠিন...

পঞ্চগড়ে চা খামারিদের ক্ষমতায়নে ইউসিবির কর্মশালা

দখিনের সময় ডেস্ক: ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) সম্প্রতি পঞ্চগড় জেলার চা খামারিদের জন্য একটি কর্মশালা আয়োজন করেছে। চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে আর্থিক...

Recent Comments