দখিনের সময় ডেস্ক:
গাইবান্ধা জেলার উপজেলা সুন্দরগঞ্জ ট্রাজেডির ৯ বছর আজ। মানবতাবিরোধী অপরাধে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালানোর পর হত্যা করা হয় চার পুলিশকে। মামলার প্রধান আসামি জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা আব্দুল আজিজসহ মূল পরিকল্পনাকারীরা এখনও পলাতক। বাকিরা রয়েছে জামিনে।
দেশজুড়ে আলোচিত এই ঘটনায় দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও অপরাধীদের বিচার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছে, আসামিরা প্রভাবশালী এবং নানা কারণে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা সম্ভব না হওয়ায় মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার দিন গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ভাঙচুর ও লুটপাট করে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা। কুপিয়ে হত্যা করে বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের চার পুলিশ সদস্যকে। আহত হয় আরও ১৮ পুলিশ সদস্য। চার পুলিশ হত্যা মামলায় ২৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হলেও এখনো এর বিচার হয়নি।
এদিকে বিভিন্ন সময় আসামি পক্ষের লোকজন ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ সাক্ষীদের। নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছেন তারা। মামলার প্রধান সাক্ষী আল মাহাদী রাসেল বলেন, ‘আমরা যে মামলাটার সাক্ষী, আমরা ভীষণ নিরপিত্তাহীনতায় আছি। প্রশাসন থেকে শুরু করে আমরা কারও সহযোগীতা পাচ্ছিনা।‘