আলম রায়হান:
চাপে আছেন তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো: হারুনুর রশিদ মোল্লাহ্। সংস্থার নানান অনিয়ম এবং বিপুল অংকের বিল বকেয়া থাকার কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানগেছে। সূত্রে জানাগেছে, বিভিন্ন শ্রেনীর গ্রাহকদের কাছে তিতাস গ্যাসের বকেয়ার পরিমান প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, তিতাস গ্যাসের এমডি পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আছেন প্রকৌশলী মো: হারুনুর রশিদ মোল্লাহ্। সম্প্রতি আলোচনার তুঙ্গে উঠেছে, তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে প্রকৌশলী মো: হারুনুর রশিদ মোল্লাহ্ দীর্ঘ সময় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকার বিষয়টি।
অনেকেই বলছেন, তিতাসের মতো একটি জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তাকে কেন নিয়োগ দিতে হলো? এ নিয়োগের বিষয়টি পর্বেক্ষক মহলে মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন হয়েই আছে। এ নিয়ে বিভিন্ন কতা চাউড় হয়ে রয়েছে শুরু থেকেই।
একটি সূত্র বলছে, প্রকৌশলী মো: হারুনুর রশিদ মোল্লাহ্ নায়ানগঞ্চের এক জনপ্রিতিনিধির ঘনিষ্ঠজন। এই সূত্রেই তিনি তিতাসের এমডি হবার সুযোগ পেয়েছেন বলে অনেকেরই ধারণা। কিন্তু যে ধারণায় প্রভাবিত হয়ে প্রকৌশলী মো: হারুনুর রশিদ মোল্লাহ্কে তিতাস গ্রাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো তা তিনি সফল করতে পারেননি। বরং নানান অব্যবস্থাপনা এবং গ্রাহকদের কাছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা ‘রহস্যজনক’ বকেয়া হওয়ার বিষয়টি সরকারের উচ্চ মহলে চরম বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, নানান সংস্থায় অনিয়মের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছে সরকার। সূত্রমতে, রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা আসার পর নানান ক্ষেত্রে অনিয়ম দূর করা হচ্ছে সরকারের প্রধান লক্ষগুলোর একটি।