দখিনের সময ডেক্স:
যুক্তরাষ্ট্রের লাসভেগাস থেকে ক্যাসিনোর সরঞ্জাম দেশে এনেছিলেন আলোচিত অনলাইন ক্যাসিনো কারবারি সেলিম প্রধান। ওইদেশে তার দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের তথ্যও পেয়েছে সংস্থাটি। তার বিষয়ে আরো তথ্য চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আইনি সহায়তামূলক চিঠি এমএলএআর পাঠিয়েছে দুদক। অনলাইন ক্যাসিনো জগতে মাফিয়াদের একজন সেলিম প্রধান। দেশ-বিদেশে ক্যাসিনো কারবারিদের সাথেই রয়েছে যার যোগসাজশ।
গত বছর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এরপর দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ারের তদন্তে একের পর এক বেরিয়ে আসে তার বিষয়ে নানা তথ্য। তদন্তের শুরুতে থাইল্যান্ডে সেলিমের মালিকানাধীন সাতটি কোম্পানির খোজ পায় দুদক। এছাড়া ব্যাংককের দুটি অ্যাকাউন্টেও ২০ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ হাতে আসে।
সবশেষ দুদক তথ্য পায়, আমেরিকার লাস ভেগাসের ক্যাসিনোতে জুয়া খেলতেন সেলিম প্রধান। সেখান থেকেই ক্যাসিনো চিপস ও যন্ত্রপাতি আনেন দেশে। দেশটির জেপি মর্গান ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন করেছেন তিনি। আরো তথ্য চেয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে যোগাযোগ করেছে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান জানান,’লাস ভেগাস থেকে কয়েক কোটি টাকা দিয়ে ক্যাসিনো চিপস ক্রয় করেছেন বলে আমাদের কাছে তথ্যা রয়েছে। টাকা উদ্ধারের জন্য আমেরিকা ও থাইল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’
এদিকে দেশের একটি বেসরকারি ব্যাংকে সেলিম প্রধানের ৬১ কোটি লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেলেও এর কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। তদন্তে তার বৈধ কোনো আয়ের উৎস না পাওয়ায় দেশে তার পঞ্চাশটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে দুদক। এছাড়া তার স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পদও এরইমধ্যে জব্দ করা হয়েছে। ড. মোজাম্মেল হক খান আরও জানান,’পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট শিগগিরই আমরা পাবো। সেটা কমিশনে উপস্থাপনের পর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পন্ন করার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তদন্তে এখনো সেলিম প্রধানের সম্পদের পরিমাণ ঠিক করা যায়নি। দুদক মনে করছে, থাইল্যান্ড-আমেরিকার বাইরে অন্যান্য দেশেও তার সম্পদ থাকতে পারে।