দখিনের সময় ডেস্ক:
দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় সম্প্রতি গ্রেপ্তার সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশারফ হোসেনের ভাই খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দশ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ নজরুল ইসলাম এ জামিন নামঞ্জুর আদেশ দিয়ে আগামী ১৭ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেন।
একই সঙ্গে দুই সহোদর ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) মো. সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি (বহিষ্কৃত) ইমতিয়াজ হোসেন রুবেলের জামিনের আবেদনও নামঞ্জুর করা হয়।
অসামিদের পক্ষে জামিনের আবেদন করে শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, রুবেল ও বরকতের বিরুদ্ধে অভিযোগ সুষ্পষ্ট নয়। বলা হচ্ছে দুই হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন। তার মধ্যে তারা ১৬শ কোটি টাকার টেন্ডারের কাজ করেছে। কাজগুলো তারা আইন অনুযায়ী করেছে। সেটা এর মধ্যে কিভাবে আসবে। বাকী টাকার অভিযোগও সুনির্দিষ্ট নয়। প্রায় দুই বছর ধরে জেলে আছে। তাই তারা জামিন পেতে পারেন।
আসামি বাবরের আইনজীবী শুনানিতে বলেন, তার (বাবর) বিরুদ্ধে মামলায় অন্য আসামিদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের অভিযোগ। তিনি আশ্রয়-প্রশ্রয় দিলেন, আর অন্য আসামিরা ফরিদপুরে ত্রাসের রাজত্ব করলো, তখন ফরিদপুরের প্রশাসন কি করছিল। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় যদি হয় তবে প্রশাসনের লোকেরা আসামি নয় কেন। যে অভিযোগ তা সিআইডি তদন্ত করার এখতিয়ার রাখে না। শুধু রাজনৈতিক কারণেই তিনি আসামি হয়েছেন। বয়স ৬৫ বছর। তিনি অসুস্থ। জামিন পেলে পালিয়ে যাবে না।
রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান জামিনের বিরোধীতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। মামলার অপর সাত আসামিরা হলেন- ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম। আসামিদের মধ্যে মুহাম্মদ আলি মিনার, তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম পলাতক রয়েছেন। নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী ও আসিবুর রহমান ফারহান জামিনে আছেন।
অপর ৫ আসামি কারাগারে রয়েছেন। শুনানিকালে আট আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, গত ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা চার্জশিট সিএমএম আদালতে দাখিল করেন।