দখিনের সময় ডেস্ক:
যশোরের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ঢাকার দোহার থেকে একটি কার্গো জাহাজ ভাড়ায় আনার পর তা পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে নিয়ে ভাঙারি হিসেবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জাহাজটির মালিকপক্ষ স্বরূপকাঠি থানায় অভিযোগ করার পর জাহাজটির ক্রেতা ভাঙারি ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে জাহাজের মালিক আশিকুর রহমান ও সরোয়ার হোসেন বাদী হয়ে যশোরের নওয়াপাড়া বন্দরের হাবিবুর রহমানের ছেলে মাস্টার ইমরানসহ চারজনকে আসামি করে স্বরূপকাঠি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
এমভি ওয়াকতারিব নামে জাহাজটির মালিক দোহার উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের আশিকুর রহমান জানান, তাদের জাহাজটি যশোরের নওয়াপাড়া বন্দরের মেসার্স সায়েদ এন্টারপ্রাইজের মালিক ইমরান হোসেন ভাড়ায় চালাচ্ছিলেন। সাত মাস আগে কার্গোটি ভাড়া নিলেও ইমরান চার মাসের ভাড়া পরিশোধ করেছেন। পরে একটি ভুয়া চেক দিয়ে বকেয়া ভাড়া পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন।
গত ২০ মার্চ স্বরূপকাঠির এক শ্রমিকের কাছে তারা খবর পান সেখানে একটি জাহাজ কাটা হচ্ছে। পরে তারা স্বরূপকাঠি গিয়ে জাহাজটি তাদের বলে শনাক্ত করেন। ইতিমধ্যে জাহাজের ভেতরের মূল্যবান বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও ওয়েলল্ডিং মেশিনসহ অন্তত ৪০ লাখ টাকার লোহা-লক্কর বিক্রি করে দিয়েছেন ইমরান।
ভাঙারি ক্রেতা রুবেল মিয়া জানান, জাহাজের মালিক পরিচয় দিয়ে ইমরান প্রতি কেজি লোহা ৫২ টাকা দরে তার কাছে বিক্রি করতে চুক্তিবদ্ধ হন। সাংবাদিকদের কাছেও ইমরান নিজেকে জাহাজটির মালিক দাবি করেন। তার দাবি, তিনি জাহাজটি ৯ মাস আগে গোপালগঞ্জ জেলার হাসান শেখের কাছ থেকে কিনেছেন।
এ ব্যাপারে স্বরূপকাঠি থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, দুপক্ষকেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে থানায় ডাকা হয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।