স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

দখিনের সময় ডেস্ক:

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার সূর্যোদয়ের পর ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি। এরপর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা।

পরে সশস্ত্র সালাম জানায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল। এসময় বেজে ওঠে বিউগলের সুর। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সভাপতি হিসেবে আরও একবার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ ও কেন্দ্রীয় নেতারা। এছাড়াও শ্রদ্ধা নিবেদন করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ১৪ দল, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে স্মৃতিসৌধে আসা বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এদিকে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেছে সশস্ত্র বাহিনী।

রাষ্ট্রীয় আয়োজন শেষে স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হয় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য। ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। এদিন জাতির শ্রেষ্ঠসন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে ভোর থেকে স্মৃতিসৌধে ভিড় করেন হাজারো মানুষ।

আজ প্রধানমন্ত্রীর আরও কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গণভবনে সকাল ৮টায় ‘বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ২৬ মার্চ ১৯৭১ তারিখে প্রদত্ত স্বাধীনতার ঘোষণা গ্রহণ ও প্রচারকারী- সলিমপুর ওয়্যারলেস স্টেশন’-এর ওপর প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিল মোহর অবমুক্তকরণ।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আয়োজনের ‘জয় বাংলার জয়োৎসব’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।