দখিনের সময় ডেস্ক:
রাজধানীর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপুর একাধিক খুনি এখন গোয়েন্দা জালে। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ গোয়েন্দাদের ব্যাপক তৎপরতায় সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন খুনিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে আনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় খুনি প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। র্যাবের গোয়েন্দা শাখা থেকেও প্রায় একই তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি ও র্যাবের ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক আলামত সংগ্রহ করেছে বলে জানাগেছে।
ফুটেছে দেখা যায়, পলো শার্ট, বুকের সামনে ব্যাগ আর মাথায় হেলমেট পড়া খুনি মোটরসাইকেল থেকে নেমে আসে। এরপর মাইক্রোবাসের সামনে সিটে বসা টিপুর গাড়িতে গুলি চালায়। গুলিতে গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। এ সময় ২০ সেকেন্ডের মধ্যে টিপুকে লক্ষ্য করে ১২টি গুলি করা হয়। ঘটনার রাতে ওই রাস্তার উল্টো দিকের মার্কেট বন্ধ ছিল। রাস্তাও ছিল ফাঁকা। ফলে গুলির পরপর দ্রুত সটকে পড়া সহজ হওয়ায় খুনিরা বৃহস্পতিবার রাতের নিস্তব্ধ সময় বেছে নেয়।
কী কারণে টিপুকে খুন করা হয়েছে, নেপথ্য কারণই বা কী- এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো ধারণা দিয়ে বলছে, ক্রীড়া পরিষদের ৩৭টি টেন্ডার, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, মতিঝিলসহ আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজির ভাগবাটোয়ারা, রাজনৈতিক আধিপত্য ও এক দশক আগে খুন হওয়া মিল্কি হত্যার বিষয় এর পেছনে কাজ করে থাকতে পারে।
গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, খুনি চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে খুনিকে ধরার আগ পর্যন্ত খুনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।