দখিনের সময় ডেস্ক:
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বাসরঘরে স্বামীর সহযোগিতায় নববধূ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ঘটনাটি আগের হলেও গতকাল শুক্রবার রাতে গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার প্রধান আসামি সিরাজগঞ্জ সদরের ভুরভুড়িয়া গ্রামের আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার(২৩ এপ্রিল) সকালে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় নববধূর স্বামী ফরিদুল ইসলাম, ভগ্নিপতি আলমগীর হোসেন ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার বাসিন্দা ফেরদৌস আলমের মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে গত ২৩ মার্চ বিয়ে হয় ওই তরুণীর। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতেই নববধূকে বাড়ি নিয়ে যায় বরপক্ষ। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসরঘরে ঢুকে ফরিদুলের ভগ্নিপতি আলমগীর হোসেন শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে নববধূকে খাওয়ান। তিনি ঘুমিয়ে পড়লে ফরিদুলের সহযোগিতায় আলমগীর সকাল পর্যন্ত তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
ঘুম ভাঙলে গৃহবধূ দেখতে পান আলমগীর তার বিছানা। আর স্বামী পাশের একটি বিছানায় ঘুমিয়ে আছেন। বিষয়টি স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে জানালেও তারা তাতে কর্ণপাত করেননি; উল্টো মেয়েটিকে মারধর করা হয়। পরের দিন আলমগীর ফের একই কৌশল অবলম্বন করতে নিলে গৃহবধূ বুঝতে পারে বিষয়টি তার বাবাকে জানান। পরে তারা এসে মেয়েকে নিয়ে যান।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া নববধূর শারীরিক পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরপর আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।