দখিনের সময় ডেস্ক:
ঈদ উপলক্ষে ফেসবুকে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে ভারতীয় শাড়ি বিক্রির নামে অগ্রিম টাকা নিয়ে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। এ অভিযোগে চক্রটির এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মোছা. জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে কাজল (২৮) ও তার স্বামী এস এম খায়রুজ্জামান (৩৭)। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত সাতটি মোবাইল ফোন, ফেসবুক পেজ ও বিকাশ অ্যাকাউন্টে থাকা প্রতারণার মাধ্যমে আদায় করা অর্থ জব্দ করা হয়। কাজলের স্বামী নিউ মার্কেট থানায় অপর একটি প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসা দম্পতিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সাগর সরকার। তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘তাবিহা শাড়ি হাউস’ নামে একটি পেজ খুলে অল্প দামে ভারতীয় শাড়ি বিক্রির নামে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। চক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তারকৃত দম্পতি। তারা অভিনব কৌশলে প্রতারণা করে আসিছলো। সম্প্রতি এক নারীর কাছ থেকে শাড়ি বিক্রির নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় একটি মামলা হয়, সেই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে কোনো শাড়ি সরবরাহ না করেই মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে আসছিলো এই দম্পতি। জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে কাজল পেশায় গৃহিনী। কাজল বাসায় বসে অনলানে অর্ডার নেয়। অর্ডার গ্রহণের সময়ে শাড়ির মূল্যের একটি অংশ অগ্রিম নিয়ে নেয়। এরপর তার স্বামী খায়রুজ্জামান ডেলিভারিম্যান সেজে শাড়ি অর্ডারদাতাকে ফোন করে বলতেন, আপনার বাসার কাছে আছি, শাড়ি নিয়ে এসেছি। আপনি পেইজে দেওয়া নম্বরে ফোন করে প্রোডাক্টের কোড নম্বরটা নিয়ে আমাকে জানান। গ্রাহক পেজের নম্বরে ফোন করলে কাজল ফোন ধরে বলতো অর্ডারের বকেয়া টাকা পরিশোধ করুন কোড নম্বর পেয়ে যাবেন। গ্রাহক তখন সরল বিশ্বাসে পুরো টাকা পরিশোধ করতো। এরপরই শুরু হতো গ্রাহকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার আর ফেসবুকে ব্লক। এভাবেই অসংখ্য সহজ-সরল অনলাইন ক্রেতাদের ঠকিয়ে আসছিল তারা।
এই দম্পতি গত পাঁচ মাস ধরে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত। এই দম্পতি শুধুমাত্র রমজানের শুরু থেকে প্রতিদিন অন্তত ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে আসছিলো। কিন্তু তাদের কাছে কোনো ধরনের শাড়ি বা অন্য কোনো পণ্য ছিলো না।