দখিনের সময় ডেস্ক:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ রফিক-জব্বার হলের ছাদ থেকে পড়ে নিহত অমিত কুমার বিশ্বাসের এর মৃত্যুতে নতুন মোড়। তার রুমে সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। প্রাথমিক অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ছাদে বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়ে দূর্ঘটনাবসত পাঁচতলার ছাদ থেকে পড়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র অমিত কুমার বিশ্বাসের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় সূত্র।
কিন্তু পরবর্তীতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তার রুমমেটরা এসে বালিশের নিচে এ সুইসাইড নোট পান। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার রুম পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে নোটের বিষয়টি নিশ্চিত করেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সোহেল আহমেদ।
সুইসাইড নোটে লিখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমার মস্তিষ্কই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। আমি নিজেই নিজের শত্রু হয়ে পড়েছি অজান্তেই। নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে আমি ক্লান্ত। আর না। এবার মুক্তি চাই। প্রিয় মা-বাবা, ছোট বোন সবাই পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও।’ এছাড়াও তার পড়ার টেবিলে আরও কয়েকটি সুইসাইড বিষয়ক মন্তব্য লেখা পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে নোটের লেখার সঙ্গে তার আগে খাতার লেখার মিল রয়েছে। এছাড়াও তার রুমের পড়ার টেবিলে সুইসাইড বিষয়ক আরও লেখা রয়েছে। আমরা আপাতত রুম বন্ধ করে রেখেছি। পুলিশ এসে বাকিটুকু দেখবে। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে হলের পাঁচ তলার ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হলে অমিত কুমার বিশ্বাসকে তাৎক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিকাল সাড়ে ৫টায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার ইন্টারনাল ব্লিডিং ও মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয় বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।