দখিনের সময় ডেস্ক:
বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নদীগুলো এখন পানিতে টইটুম্বুর। সুরমা-কুশিয়ারায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। সদর উপজেলার পাশাপাশি সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট ও জৈন্তাপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আছে। এসব এলাকাতে নতুন করে বিভিন্ন জনপদ প্লাবিত হয়েছে।
সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারা এখন ফুঁসছে। অন্তত চারটি পয়েন্টে এই দুই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বুধবার সকালে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নদীগুলোর পানিসীমার সর্বশেষ তথ্য জানিয়েছে।
পাউবো জানায়, আজ সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১.২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত মঙ্গলবার একই সময়ে এ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১.২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সন্ধ্যা ৬টায় পানির সীমা ছিল ১৪.১১ সেন্টিমিটার। আজ হয়েছে ১৪.০২ সেন্টিমিটার।
সুরমার পানি আজ সকালে সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ পয়েন্টে পানি গতকালের চেয়ে আজ বেড়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট পয়েন্টে পানি ছিল ১১.২১ সেন্টিমিটার। আজ সকালে পানির সীমা দাঁড়িয়েছে ১১.২৩ সেন্টিমিটারে।
কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১.৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। শেওলা পয়েন্টেও পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। এ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। গতকালের চেয়ে এ পয়েন্টেও আজ পানি বেড়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় পানির সীমা ছিল ১৩.৫৬ সেন্টিমিটার। আজ সকালে হয় ১৩.৫৮ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারার পানি বেড়েছে শেরপুর পয়েন্টেও। গতকাল সন্ধ্যায় এ পয়েন্টে পানিসীমা ছিল ৭.২০ সেন্টিমিটার। আজ সকাল ৯টায় পানিসীমা হয় ৭.২৯ সেন্টিমিটার।
পানি বেড়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টেও। এখানে গতকাল পানির সীমা ছিল ৯.১৩ সেন্টিমিটার। আজ সকাল ৯টায় পানির সীমা দাঁড়ায় ৯.২৪ সেন্টিমিটার। গোয়াইনঘাটের সারি নদীর পানি গতকালের চেয়ে কিছুটা কমেছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় পানির সীমা ছিল ১২.২০ সেন্টিমিটার আজ সকালে পানির সীমা হয় ১১.৯৮ সেন্টিমিটার। কানাইঘাটের লোভা নদীর পানি গতকালের চেয়ে বেড়েছে ৪০ সেন্টিমিটার। গতকাল ছিল ১৪.৪৭ সেন্টিমিটার। আজ সকালে ১৪.৮৭ সেন্টিমিটার।