দখিনের সময় ডেস্ক:
দ্রোহ ও প্রেমের কবি, বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী। কী প্রেম, কী দ্রোহ, কাজী নজরুল ইসলামের মতো আর কেউ হয়তো সাহিত্যে বলেননি এতটা দরদ দিয়ে। তার গান, কবিতা শুধু বাঙালিকে আনন্দই দেয়নি, লড়াই-সংগ্রামে জুগিয়েছে প্রেরণা।
যেখানেই অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার, অসাম্য সেখানে উচ্চারিত হয় তার নাম। আবার হামদ-নাথ থেকে শুরু করে শ্যামাসংগীতেও দেখিয়েছেন অসম্ভব মুনশিয়ানা। আবার গান কবিতা উপন্যাসে তার প্রেমিক সত্ত্বাও উদ্ভাসিত হয়েছে সমানতালে। এ বছর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘বিদ্রোহীর শতবর্ষ’। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জৈষ্ঠ, ইংরেজি ১৮৯৯ সালের ২৫ মে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। ছোটবেলায় তিনি পিতৃহারা হন। এর পর বাধার দুর্লঙ্ঘ্য পর্বত পাড়ি দিতে হয় তাকে। তবে বাংলার সাহিত্যাকাশে দোর্দ- প্রতাপে আত্মপ্রকাশ করেন কবি নজরুল। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার সম্পর্কে যথার্থই বলেছেন- ‘কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু, আয় চলে আয়রে ধূমকেতু/আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু, দুর্দিনের এই দুর্গশিরে উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন।’
মধ্যবয়সে কবি নজরুল পিকস ডিজিজে আক্রান্ত হন। এর ফলে আমৃত্যু তাকে সাহিত্যকর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। এক সময় কথা বলার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন। ১৯৭২ সালের ২৪ মে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নজরুলকে দেওয়া হয় জাতীয় কবির মর্যাদা। ১৯৭৬ সালে কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব এবং ‘একুশে পদক’ দেওয়া হয়। ওই বছরই ২৯ আগস্ট প্রয়াত হন নজরুল।