Home অন্যান্য অপরাধ ও দূর্নীতি রাজধানীর উপকণ্ঠে বেড়েছে ডাকাতী, মামলা করলেও ধরাপড়ে না ডাকাত

রাজধানীর উপকণ্ঠে বেড়েছে ডাকাতী, মামলা করলেও ধরাপড়ে না ডাকাত

দখিনের সময় ডেস্ক:

রাজধানীর উপকণ্ঠে সাভার, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জসহ আশপাশ এলাকায় বেড়েছে ডাকাতের উপদ্রব। সংঘবদ্ধ ডাকাতদের তান্ডব ও নৃশংসতায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে উঠেছে মানুষ। ডাকাতরা ধনবান ও প্রবাসীদের বাড়ি টার্গেট করে লুটপাট চালাচ্ছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা মামলা করলেও ডাকাতরা ধরা পড়ছে না। উদ্ধার হচ্ছে না লুণ্ঠিত মালামাল। কেরানীগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ ডাকাতির হটস্পট।

এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী ডাকাতি ঠেকাতে রাত জেগে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছেন। এমনকি বাড়িঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের পাহারাদার হিসেবে ভাড়া করা হচ্ছে।  ডাকাতের মারধর আর গুলিতে গত তিন মাসে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। ভয় আর ডাকাতির পিটুনিতে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ডাকাতরা যে কোনো বাড়িতে লুটপাটের পর সংশ্লিষ্ট বাড়িতে সিসি ক্যামেরা থাকলে তার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যায়। ডাকাতির সময় মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার না করায় আসামি গ্রেপ্তারে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।

গত তিন মাসে রাজধানীর উপকণ্ঠে (চারপাশে) অর্ধশতাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সাবেক সচিব, ব্যবসায়ী থেকে প্রবাসী কেউ ডাকাতের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। অধিকাংশ ঘটনাতেই থানায় মামলা হয়নি। আবার কিছু ঘটনায় মামলা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসামি গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি।

রাত নামলেই এলাকাবাসীর মধ্যে শুরু হয় ডাকাত আতঙ্ক। তারা পালা করে রাত জেগে পাহারা দেন। এ ছাড়া তাদের গ্রামের ৪৫টি পরিবার মিলে ১৬ হাজার টাকায় দুজন পাহারাদার ভাড়া করেছেন। রাত ১১টা থেকে ভোর পর্যন্ত তারা লাঠি হাতে এলাকায় পাহারা দেন। ডাকাত কিংবা সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে তারা এলাকাবাসীকে বাঁশি বাজিয়ে সতর্ক করেন। এরপরও আতংক কাটছে না এলাকাবাসীর।

জানা যায়, ডকাত দলে অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য থাকে। একেকবার ডাকাতির সময় ১০ থেকে ১২ জন অংশ নেয়। তারা ডাকাতির দিন ঢাকার বাইরের যে যার বাড়ি থেকে আসে। বাড়ি থেকে বের হয়ে ডাকাতি শেষ করে আবার বাড়ি ফেরা পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না। যে বাড়িতে ডাকাতি করে থাকে ওই বাড়িতে সিসি ক্যামেরা থাকলে তার হার্ডডিস্ক তারা খুলে নিয়ে যায়। যাতে পুলিশ তাদের কোনো ফুটেজ না পায়। ডাকাতির বাড়ি টার্গেট ঠিক করার জন্য ডাকাত দলের কয়েকজন সদস্য ঢাকার আশপাশের এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা চালান। বিভিন্ন জাযগায় যাত্রী নিয়ে যাওয়ার আড়ালে তারা বাড়ি ও এলাকা রেকি করে। প্রধান টার্গেট থাকে প্রবাসীর বাড়ি। এ ছাড়া প্রতিবেশীহীন ফাঁকা বাড়িও টার্গেট করা হয়। যাতে বাড়ির লোকজনের চিৎকার শুনে অন্যরা দ্রুত সাহায্যে এগিয়ে আসতে না পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ

দখিনের সময় ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম...

মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান

দখিনের সময় ডেস্ক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হবিগঞ্জে মানহানির একটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন । বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল আলীম...

সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা: ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

দখিনের সময় ডেস্ক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আটজন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। সাময়িক...

বাউফলে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

বাউফল প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে কালাইয়া-বাউফল ও বরিশাল সড়ক অবরোধ করেছেন কয়েকশ বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১ পর্যন্ত দুই ঘন্টা দাশপাড়া...

Recent Comments