দখিনের সময় ডেস্ক:
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়াকে বাগে আনতে ও তেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণের এজেন্ডা নিয়ে চলতি মাসেই সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন- এই সফর নৈতিক ক্ষোভের চেয়ে বাস্তব রাজনীতিকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জেরে যুক্তরাষ্ট্র জ্বালানির উৎস খোঁজা ও বিশ্ববাজার স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আসন্ন সফরে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নানা সময় যুবরাজের প্রতি অসন্তুষ্টির বিষয়টি প্রকাশ করেছেন বাইডেন। কিন্তু তার এই সফর ঘোষণার প্রেক্ষাপটে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, হাওয়া আবারও উল্টা দিকে বইতে শুরু করেছে। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতি মেয়াদ বাড়ানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুবরাজ সালমানকে অভিনন্দন জানান হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জেন পিয়েরে।
চলতি মাসের শেষের দিকে বাইডেনের সৌদি সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। এ কারণে সৌদি সরকারের ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা যুবরাজের ‘বিরল’ প্রশংসা করেছে হোয়াইট হাউস। খবরে আরও বলা হয়, ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোয় যুবরাজের প্রশংসা করলেও আগের দিন বুধবার হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল- ২০১৮ সালে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা ও তার লাশ গুমের ঘটনায় এমবিএসের ভূমিকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গোয়েন্দা সংস্থার ভাষ্যের কারণে বাইডেন সৌদি যুবরাজকে এখনো ‘ব্রাত্য’ মনে করেন।