দখিনের সময় ডেস্ক:
নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ভারতে সরকার গঠনের পর মুসলিম নির্যাতনের অভিযোগ বেড়েছে। প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। বিষয়গুলো নিয়ে মুসলিম দুনিয়া থেকে ইতোপূর্বে তেমন কোনো প্রতিবাদ হয়নি। তবে এবার মহাবিপদে পড়েছে ভারত। সূত্র : বিবিসি
মহানবি (সা.)-কে নিয়ে বিজেপি নেত্রীর কটূক্তির পর ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে গোটা মুসলিম দুনিয়া। কিন্তু মুসলিম দুনিয়া ফুঁসে উঠলে ভারতে ক্ষতি কী? মুসলিম বিশ্ব ক্ষুব্ধ হওয়ায় ভারত মূলত ৫ ধরনের বিপদের মুখে রয়েছে।
১. ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে গোটা দুনিয়া জ্বালানি সংকটে রয়েছে। এমন অবস্থায় মুসলিম দেশগুলোর হাতে বিরাট জালানির মজুত রয়েছে। ভারত ইরানসহ কয়েকটি দেশ থেকে জালানি আমদানি করে। গত ১৫ বছরে ভারতের মোট তেল আমদানির ৮০ ভাগ এসেছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। এসব দেশ জালানি বন্ধ করে দিলে ভারত বড়সড় সংকটে পড়বে।
২. মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভারতীয় পণ্য কেনাবেচা হয়। ভারতীয় পণ্য রপ্তানির বড় বাজার কুয়েত, কাতার বা সৌদির মতো দেশ। গত অর্থবছরে ভারত এসব দেশে প্রায় ১৫৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। এসব দেশে ইতোমধ্যে ভারতীয় পণ্য বর্জনের সামাজিক আন্দোলন শুরু হয়েছে; যা ভারতের রপ্তানি আয়ে বড়সড় ধাক্কা দিতে পারে।
৩. মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রায় ১২ থেকে ১৫ শতাংশ কর্মী রয়েছে ভারতীয়। এর মধ্যে আরব আমিরাতে ৪০ লাখ, সৌদি আরবে ৩০ লাখ ও কুয়েতে ১৩ লাখ ভারতীয় কর্মী রয়েছে। এসব কর্মীদের নিয়োগকর্তা যদি প্রতিবাদ হিসেবে অন্য দেশ থেকে কর্মী নেওয়া শুরু করে তাহলে ভারতের রেমিট্যান্সে ভয়াবহ সংকট তৈরি হবে। ভারতের মোট রেমিটেন্সের প্রায় ৭০ ভাগ আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে।
৪. আফগানিস্তানে ভারতের বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার। মধ্যপ্রাচ্যের জনগণ ভারতবিরোধিতায় সরব থাকলে দেশটির এই বিনিয়োগ হুমকির মুখে পড়তে পারে।
৫. ভারত দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের বাজার সুসংহত করতে দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছে। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই বন্ধুত্ব হুমকিতে পড়েছে। সৌদি, কুয়েত, কাতার বা ইরানের মতো দেশগুলোর সঙ্গে গড়ে তোলা বন্ধুত্ব এখন হুমকির মুখে।