ডেস্ক রিপোর্ট:
শিশু একটা পরিবারের আশার আলো। ভালোবাসার পূর্ণতা যেমন সম্পর্কের স্থায়ীত্বে, তেমনি সম্পর্কের বৃত্তকে পূর্ণ করে সন্তান। অনেকেই মনে করেন যৌন সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমেই গর্ভধারণের কাজটা সম্পূর্ণ হয়ে যায়। আসলে এটা সত্য। কিন্তু এই সত্যের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এমন কিছু দিক যার দিকে অনেক সময় আমরা তাকাই না, আর কার্যক্ষেত্রে গর্ভধারনের সেগুলো হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ।
দ্রুত বাচ্চা চাইলে হবে না, বাচ্চার জন্য গর্ভধারণ প্রথম পর্যায়। এই গর্ভধারণকে নিশ্চিত করতে গেলে স্পার্মে সঙ্গে ডিম্বাশয়ের মিলনকে শক্তিশালী করতে হবে। যার ফলে ভ্রুণ শক্তিশালী হবে। আর এর জন্য একটা সুস্থ এবং সবল শিশুর জন্ম হওয়া সম্ভব হয়ে উঠবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ: একজন চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন। কারণ আপনার শারীরিক পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে রয়েছে এবং তা গর্ভধারণের পক্ষে কতটা সহায়ক তা একজন চিকিৎসকই বলতে পারেন। এমনকী কোনো ওষুধ যদি খেয়ে থাকেন নিয়মিত, তা গর্ভধারণের পক্ষে বাধা হবে কি না তা জেনে নেয়াটা দরকার। এর ফলে গর্ভধারণের সময় যদি অহেতুক শারীরিক সমস্যাকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।
স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল: একটা সুস্থ-সবল জীবনশৈলী মেনে চলার চেষ্টা করুন। কারণ এটা প্রাথমিকভাবে একজনকে নিশ্চিত করবে তার দ্রুত গর্ভ ধারণের ক্ষেত্রকে। একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে গর্ভধারণের সময় শরীরের অনেক ধরনের পরিবর্তন হয়। এর বেশিরভাগটাই হরমোন জনিত বিষয়। তাই সুস্থ-সবল জীবনশৈলী গর্ভধারণের এই সমস্যাকে ভালো করে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। তাই দ্রুত গর্ভধারণের ইচ্ছে থাকলে একটু নিয়ন্ত্রিত এবং হেলদি লাইফ-স্টাইলের রুটিনকে অনুসরণ করতে হবে।
সুস্থ-সবল শারীরিক ওজন: একটা স্বাস্থ্য সম্মত শারীরিক ওজন দ্রুত গর্ভধারনের বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত শারীরিক ওজনে গর্ভধারণের সময় নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এতে গর্ভধারণ খুব বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। কিন্তু, তার বদলে যদি একটা স্বাস্থ্যসম্মত ওজন বজায় রাখা যায় তাহলে গর্ভবতীর শারীরিক পরিস্থিতে তা সহায়ক হয়ে ওঠে।
শরীর চর্চা করুন: শরীরের রক্ত সঞ্চালনা ঠিকঠাক হয় বলে প্রচুর এনার্জি পাওয়া যায়। এর ফলে মন এবং শরীর একটা সুস্থ বোধ করে। এটা শরীর এবং মনের নমনীয়তাকে বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে, শরীর চর্চার মানে এটা নয় যে মাত্রারিক্ত তা করতে থাকবেন।
দাঁত নিয়ে সচেতনতা দাঁতের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে ভুলবেন না। কারণ একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন যে দাঁতের কোনো সমস্যা আপনার গর্ভধারণে প্রভাব ফেলার ক্ষমতা রাখে। কারণ এর জন্য অনেক সময় সন্তান কম ওজনের এবং প্রিম্যাচিওর হয়ে জন্ম নিতে পারে।