চলছে নির্বাচন কমিশনের অগ্নিপরীক্ষা, সবার দৃষ্টি কুমিল্লার দিকে

দখিনের সময় ডেস্ক:

সবার দৃষ্টি  কুমিল্লার দিকে। কারণ আজ নির্বাচন কমিশনের অগ্নিপরীক্ষা। দায়িত্ব গ্রহণের পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনই হবে আউয়াল কমিশনের প্রথম পরীক্ষা। যদিও স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে ‘অসহায়ত্ব’ প্রকাশ করে এরই মধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে এ নির্বাচন কমিশিন (ইসি)।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আজ বুধবার সকাল ৮টায় ২৭টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে; চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। মেয়র পদে লড়ছেন ৫ প্রার্থী। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত, স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু (টেবিলঘড়ি) ও নিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া)।  এবারের কুসিক নির্বাচনে শতভাগ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

এ ছাড়া প্রথমবারের মতো প্রতিটি বুথেই থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্তসংখ্যক সদস্য। যদিও ক্ষমতাশীন দলের মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে পেশিশক্তি প্রদর্শনের শঙ্কা করে আসছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আবার ক্ষমতাশীন দলের প্রার্থীর অভিযোগ, সদ্য সাবেক মেয়র ভোট কিনতে কালো টাকা ছড়াচ্ছেন।

জাতীয় রাজনীতিতেও এ নির্বাচন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বর্তমান আউয়াল কমিশনের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ফলে দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নতুন ইসির সক্ষমতা ও আস্থা অর্জনের অগ্নিপরীক্ষা হিসেবে বিবেচানা করা হচ্ছে। সরকারের জন্যও এ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দলীয় সরকারের অধীনে ইসি কতটুকু নিরপেক্ষ ভোট উপহার দিতে পারবে, তারও প্রমাণ মিলবে এ নির্বাচনে।

এবারের নির্বাচনে ৫ জন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সদ্য সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সার। এর মধ্যে সাক্কু গত দুবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি দুজন প্রথমবারের মতো মেয়র পদে লড়াই করছেন। এ ক্ষেত্রে দেখার বিষয়- আজ কি সাক্কুর হ্যাটট্রিক হবে, নাকি অভিষেক ঘটবে রিফাতের। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রথমবারের মতো পরীক্ষা্য় পাশফেলের বিষয়টি।