Home শীর্ষ খবর স্বপ্নের সেতু দিয়ে বাধাহীন ভাবে পদ্মা পার

স্বপ্নের সেতু দিয়ে বাধাহীন ভাবে পদ্মা পার

দখিনের সময় ডেস্ক:

পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে সড়কপথে দক্ষিণের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপিত হলো। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আশা করছেন, এখন ওই অঞ্চল থেকে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য গন্তব্যে আরামদায়ক ও বিলাসবহুল বাস চালু হবে।

আনুষ্ঠানিকভাবে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে এক নেটওয়ার্কের আওতায় এলো দেশের সকল সড়ক। রবিবার ভোর ৬টায় সর্বসাধারণের যাতায়াতের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আর স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে উঠতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।

জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনের পর ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদেরও ভিড় জমেছে পদ্মা সেতুতে। গতকাল রবিবার দিনের শুরু থেকে মাওয়া টোল প্লাজা এলাকায় দীর্ঘ সারি ছিল মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারের। যারা টোল দিয়ে সেতুতে ওঠেন, তাদের মধ্যে ছিল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। একই চিত্র জাজিরা প্রান্তেও। পণ্যবাহী ট্রাকের পাশাপাশি বাস, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারের দীর্ঘ সারি ছিল সেখানে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অনুরোধ জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে সময় কী পরিমাণ কমছে তার একটা দৃষ্টান্ত হচ্ছে- খুলনা থেকে গতকাল সকাল ৭টায় রওনা হন শাহাবুদ্দিন। মাত্র তিন ঘণ্টায় মাওয়া এসে পৌঁছান। সারাদেশকে সড়ক যোগাযোগে এক সুতায় বাঁধার কাজটি আটকে ছিল পদ্মা নদীর কারণে। বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে এ দুই অঞ্চলের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগব্যবস্থা একান্ত প্রয়োজন। তাই দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলাকে উন্নয়নের মূলধারায় যুক্ত করতে কোটি জনতার সময়ের দাবি ছিল পদ্মার দু-পারের সেতুবন্ধ। তার সুফল পেতে শুরু করেছে মানুষ।

পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণের জেলা বরিশাল থেকে ঢাকায় আসতে অনেকটা সময় বাঁচবে। তবে কতটা সময় বাঁচবে, বাধাহীন যাত্রা করে কতটুকু সময়ে ঢাকা-বরিশাল যাতায়াত করা যাবে- এ নিয়ে একটা বিতর্ক ছিল। তবে অধিকাংশের মত ছিল- বাসে ঘণ্টা চারেকের মতো লাগবে।

বাস্তবতা হলো- চার ঘণ্টা নয়, তিন ঘণ্টারও কম সময়ে বরিশাল থেকে বাসযোগে ঢাকায় চলে এসেছেন সাইফুল ইসলাম। বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে রবিবার সকালে বাসে যাত্রা করে ২ ঘণ্টা ৫০ মিনিটে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে পৌঁছান তিনি।

আগে বরিশাল থেকে রাত ১০টায় ছেড়ে আসা কোনো বাস ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকায় পৌঁছাতে পরদিন ভোর ৪টা বেজে যেত। সে হিসাবে একজন যাত্রীর সময় ব্যয় হতো ৬ ঘণ্টা। আর বরিশাল থেকে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে লঞ্চ ছাড়লে পরদিন ভোর ৪টার দিকে সেটি ঢাকার সদরঘাটে এসে পৌঁছায়। সে হিসাবে লঞ্চে বরিশাল থেকে ঢাকায় আসতে সময় লাগে সাড়ে ৭ ঘণ্টার মতো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল এমবিএ প্রোগ্রাম চালু

কাজী হাফিজ: বর্তমান বিশ্বে মাস্টার্স অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) প্রোগ্রামকে ব্যবসা এবং ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন কোর্স হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের চাহিদার কথা...

গাড়িতে আসার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিলেন রনোভাই

প্রায় দুই দশক আগে এসটিভি ইউএস নামে একটি টেলিভিশন আমেরিকা থেকে সম্প্রচারিত হতো। কিন্তু কার্যক্রম পরিচালিত হতো বাংলাদেশ থেকে। এতে মুখোমুখি নামে একটি টকশো...

মাছ ধরার সময় শ্বাসনালিতে বাইন মাছ

দখিনের সময় ডেস্ক: ঝুঁকিপূর্ণ দেখে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় শ্বাসনালি কেটে বাইন মাছটি বের করা হয়। এরপর রোগী সুস্থ হলে ৭-৮ দিন পর তার শ্বাসনালিতে বসানো...

অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে শিক্ষক পেটানো সেই ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

দখিনের সময় ডেস্ক: কলেজে অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে শিক্ষক পেটানো ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। শিক্ষককে পেটানো বহিষ্কৃত এ ছাত্রলীগ নেতা হলেন মো. সাফাতুন নুর...

Recent Comments