দৈনিক দখিনের সময় ডেস্ক:
সাংবাদিক মামুনুর রশীদ নোমানী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলা শিকার হয়ে ভাগ্যক্রমে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাংবাদিক নোমানীকে হত্যার উদ্যেশেই পরিকল্পিভাবে হামলা চালিয়েছিলো সন্ত্রাসীরা। নোমানী ও তার মাকে মৃত ভেবে ফেলে যায় হামলাকারীরা।
দৈনিক শাহনামার প্রধান বার্তা সম্পাদক ও মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মামুনুর রশীদ নোমানীর উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দাপট এখনো থামেনি। তারা এলাকায় নানান ধরনের মহড়া দিচ্ছে। এমনকি তারা সাংবাদিক নোমানীর বাড়িতে আগুণ দেবারও হুমকি দিচ্ছে। এ ব্যাপোরে সাংবাদিক নোমানী মা রাজাপুর থানায় জিডি করেছেন বলে জানাগেছে।
উল্লেখ্য, ৩ জুন বিকেল চারটার দিকে ঝালকাঠীর রাজাপুরের চল্লিশকাহানিয়া শাহরুমীর বাজারে সাংবাদিক মামুনুর রশীদ নোমানীর উপর হামলা চালায় এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারী চক্র। একই সময় সাংবাদিক নোমানীর বৃদ্ধা মা পারুল বেগম এবং বোন লিপি আক্তারও হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এত তারা গুরুতর আহত হন। এ হামলায় তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হন।
সবচেয়ে বেশি আহত হন সাংবাদিক মামুনুর রশীদ নোমানী। তার মাথায় প্রায় দশ ইঞ্চি / ছয় ইঞ্চি ক্ষত হয়। এতে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়েছে। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসায় সাংবাদিক ভাগ্যক্রমে প্রানে বেচে যান বেঁচেযান। তবে তিনি এখনো আশংকা মুক্ত নন বলে জানাগেছে। তনি নানান জটিলতায় ভুগছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও জালটাকার কারবারী সন্ত্রাসী চক্রের প্রায় ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ আগে থেকেই ওৎ পেতে ছিল। সাংবাদিক নোমানী ঘটনাস্থলে গেলেই তার উপরে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে নোমানীর মা ও বোন তাকে বাঁচাতে ছুটে এলে তাদেরকেও কোপায় সন্ত্রাসীরা। তারা তিনজনই এখন মুমূর্ষূ অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
জানা গেছে, কালিমা তাইয়েবা খচিত একটি তোরণ ভাঙ্গার উদ্যোগ নেয় এলাকার একটি গ্রুপ। সাংবাদিক নোমানী সহ এলাকার সচেতন মহল এর বিরোধীতা করায় সেই তোরণটি ভাঙ্গতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয় তারা। দীর্ঘ পরিকল্পনার মাধ্যমে অবশেষে এই হামলার ঘটনা ঘটনা ঘটায় সন্ত্রাসীরা।