মশিউর রহমান তাসিন:
স্বাস্থ্য সেবার নামে বরিশালে চলে নানান ধরনের প্রতারণা ও তান্ডব। এ অভিযোগ বহুদিনের। কিন্তু মাঝেমধ্যে ছোটখাটে অভিযান চালানো হলেও মূল অপরাধী চক্র থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়র বাইরে। ফলে বরিশালে প্রাইভেট স্বাস্থ্য খাতের অপরাধীরা যে কতটা দানবে পরিনত হয়েছে তার প্রমান মিললো বিসিসি’র সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন বাবুল মোল্লা খুন হবার মধ্য দিয়ে।
জানা যায়, বুধবার (২৯ জুন) বিকেলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দালালরা অটো রিকশায় করে রোগী নিয়ে আসে বরিশাল নগরীর জর্ডন রোডে গেইন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারের। দাললালরা বলেছিলো, ডা. অমিতাভ সরকার গেইন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারের বসেন। কিন্তু ডায়াগনস্টিক সামনে এসে রোগির সন্দেহ হয়। কারণ, তারা শুনেছিলন, ডা. অমিতাভ সরকার বসেন সদর রোডে। রোগীরা সদর রোডের ডা. অমিতাভ সরকারের কাছে যেতে চাইলে দালালদের সঙ্গে রোগী ও স্বজনদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
এ সময় পাশ দিয়ে ২৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন বাবুল মোল্লা। তিনি রোগীদের জানান, গেইন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারে ডা. অমিতাভ সরকার বসেন না। প্রতারণা করার জন্য দাললদের তিরস্তার করেন বাবুল মোল্লা।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গেইন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারের লোকজন ও দালালরা মিলে গিয়াস উদ্দিন বাবুল মোল্লাকে ধরে একটি রুমের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে লাঠি ও রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে পাঁজরের এবং বুকের হাড় ভেঙে যায়। এরপরও খান্ত হয়নি বরিশালের স্বাস্থ্য খাতের মাফিয়া চক্র। বরং রড দিয়ে বাবুল মোল্লার মাথায় আঘাত করে। মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে তাকে অটোর নিচে রেখে দালালচক্র রটিয়ে দেয়, সে অটো চাপা পড়ে মারাগেছে।