দখিনের সময় ডেস্ক:
রাজধানীতে পশু কোরবানি দিতে গিয়ে প্রায় তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। কোরবানির সময় পশুর লাথি-শিংয়ের আঘাত এবং অসাবধানতাবশত দা, চাকু, ছুরির আঘাতে তারা আহত হন। এদের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা গুরুতর। অন্যান্য বছরের চাইতে এবার গরু কাটাকাটি করতে গিয়ে আহতদের সংখ্যা বেশি।
রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে। কারও হাত, কারও পা অথবা শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গেছে। এগুলোর পাশাপাশি কোরবানি দিতে গিয়ে গরুর শিংয়ের আঘাতে আহত হয়েছেন অনেকেই।
শ্যামলী অর্থোপেডিক হাসপাতালের নার্স সুপারভাইজার সাবিত্রী রানী চক্রবর্তী বলেন, পশু কোরবানি ও পরে মাংস কাটতে গিয়ে সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত আহত হওয়া দুই শতাধিক রোগী হাসপাতালে আসেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশ রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। ৬০ জনের ছোটখাটো ও বড় অপারেশন করা হয়। ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ রাত ১২টা পর্যন্ত এ ধরনের রোগী আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জরুরি বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসক তপন কুমার পাল বলেন, কোরবানির পশু কাটতে গিয়ে হাত-পা কেটে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ রোগী হাসপাতালে আসেন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ ধরনের রোগীর চাপ ছিল বেশি। এদের কাউকে কাউকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যাদের আঘাতের পরিমাণ বেশি তাদের অপারেশন করতে হয়েছে। তিনি জানান, গ্রাম থেকে আসা অপেশাদার কসাইয়ের পাশাপাশি অসাবধানতা কিংবা অসচেতনতার কারণে কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
একই কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন ৯৬ জন। তাদের সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে তাদের চিকিৎসার জন্য ঢামেকে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে রাজধানীর বংশাল, ওয়ারী, লালবাগ, পোস্তগোলা, কামরাঙ্গীরচর, রামপুরা, মতিঝিল, খিলগাঁও, হাজারীবাগ, চানখাঁরপুল, চকবাজার এলাকা থেকে বেশি আহত রোগী আসেন।