দখিনের সময় ডেস্ক:
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল খালেক চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে কানাডায় পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর আগে তার টেবিলের ড্রয়ার থেকে সরকারি ৭ হাজার ৮৩০টি পে-অর্ডার উদ্ধার হয়। যেগুলো তিনি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে রেখেছিলেন বলে ধারণা করা হয়।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ২০ ক্যাটাগরিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্ত আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল পে-অর্ডারগুলো। কিন্তু আব্দুল খালেক বেবিচকের হিসাব শাখায় জমা না দিয়ে সেগুলো নিজের ড্রয়ারে রেখে দেন। এ অভিযোগে তাকে সদর দপ্তরে হাজির হয়ে কারণ দর্শানো ও ব্যাখ্যা তলব করে নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ। পে-অর্ডার উদ্ধারের ঘটনায় একটি বিভাগীয় মামলা করে বেবিচক কর্তৃপক্ষ।
এদিকে চাকরির নামে সাড়ে ৭ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে গত ৭ জুন বেবিচক চেয়ারম্যানের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জমা দেন তানজিমুল ইসলাম রিফাত নামের এক ভুক্তভোগী। তার বাড়ি চট্টগ্রামের বাকলিয়ায়। রিফাতের অভিযোগের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।
এদিকে দুই মাসের ছুটি নিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল খালেকের কানাডায় পালিয়ে থাকার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। গত মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে বেবিচক চেয়ারম্যানের দপ্তরে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেন তদন্ত কমিটির কর্মকর্তা সিভিল এভিয়েশন একাডেমির পরিচালক প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ‘পলাতক’ আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করেছেন পরিচালক।
প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, আব্দুল খালেক তার স্ত্রীর বড় ভাইকে দেখতে ২ মাসের ছুটি নিয়ে গত ১২ নভেম্বর কানাডায় যান। কিন্তু ছুটি শেষে তিনি দেশে ফেরেননি। কানাডায় যাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন উল্লেখ করে গত ১০ জানুয়ারি আব্দুল খালেক একটি অবগতিপত্র হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমে সদর দপ্তরে পাঠান। কিন্তু ওই পত্রের সঙ্গে কোনো ডাক্তারি সনদপত্র বা প্রামাণিক দলিলাদি সংযুক্ত করেননি। পরবর্তী সময়ে অসুস্থতার বিষয়ে নতুন করে কর্তৃপক্ষকে কিছু না জানিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন।