দখিনের সময় ডেস্ক:
কাওয়ালি সম্রাটদের রাজা নুসরাত ফতেহ আলী খানের প্রয়াণ দিবস আজ। ১৯৯৭ সালের ১৬ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন। উস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলী খান (১৯৪৮-১৯৯৭), উপমহাদেশের কিংবদন্তিতুল্য সংগীতশিল্পী। তার অসাধারণ কণ্ঠের জন্য তাকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ গায়কদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা একই তালে কাওয়ালি পরিবেশন করতে পারতেন।
১৯৪৫ সালের ১৩ অক্টোবর পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের এক পাঞ্জাবি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন নুসরাত। প্রায় ছয়শ বছরের পারিবারিক কাওয়ালি ঐতিহ্যের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছিলেন তিনি। তার বাবা ফাতেহ আলী খান একজন সংগীত তাত্ত্বিক, গায়ক, বাদক ও কাওয়াল ছিলেন।
নুসরাত ফতেহ আলী খান পাকিস্তানি ও ভারতীয় সিনেমায় অনেক গান করেছেন। তিনি ১৯৮৫ সালে পিটার গ্যাব্রিয়েলের সঙ্গে মিলে ‘দ্য লাস্ট টেম্পটেশন অব ক্রাইস্ট’ ছবিতে কাজ করেন। ১৯৯০ সালে কানাডীয় সংগীতজ্ঞ মাইকেল ব্রুকের সঙ্গে ‘মাস্ত মাস্ত’ ও ১৯৯৬ সালে ‘নাইট সং’ অ্যালবামে কাজ করেন। ১৯৯৫ সালে ‘ডেড ম্যান ওয়াকিং’র সাউন্ডট্র্যাকে পার্ল জ্যামের প্রধান গায়ক এডি ভেডারের সঙ্গে কাজ করেন। এ আর রহমানের ‘বন্দে মাতেরম’ অ্যালবামে ‘গুরুস অব পিস’ গানে কণ্ঠ দেন।
নুসরাত ফতেহ আলী খান ১৯৮৭ সালে সংগীতে অবদানের জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে অ্যাওয়ার্ড ফর প্রাইড অব পারফরম্যান্স গ্রহণ করেন। ১৯৯৫ সালে পান ইউনেস্কো মিউজিক প্রাইজ। ১৯৯৬ সালে মন্ট্রিয়েল ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গ্রান্ড পিক্স ডেস আমেরিকাস পুরস্কার জেতেন। একই বছর পান ফুকুয়োকা এশিয়ান কালচারাল প্রাইজ। তার ওপর পাঁচটির মতো ডকুমেন্টারি নির্মিত হয়েছে।