দখিনের সময় ডেস্ক:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় হালিমা বেগম (২৭) নামের এক অন্তঃসত্ত্বার পাঁচ মাসের ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে তিনজন নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তারা জামিন নিতে গেলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান। হালিমা বেগম মধ্য তুষখালী গ্রামের আবদুস ছত্তারের মেয়ে এবং একই গ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী।
জানা যায়, হালিমা বেগম ও তার বোন ফাতিমা বেগম তুষখালী গ্রামে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি এবং কিছু জমি কিনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে হালিমা বেগম ও তার বোন ফাতিমা বেগমকে উৎখাতের চেষ্টা করছিলেন প্রতিপক্ষ আবদুর রহমান (৫০)। এ ঘটনায় একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে গত ৮ আগস্ট সকালে আবদুর রহমান, মনির (৩২), মান্নান (৫৩), মান্নানের স্ত্রী কহিনুর বেগম (৪৫), একই গ্রামের আবদুর রহমানের স্ত্রী সোনিয়া বেগম (৩০) ও আবদুর রহমানের স্ত্রী আকলিমা বেগম (৪০) মিলে হালিমার বাড়িতে ভাঙচুর করেন।
ভুক্তভোগী হালিমাকে ওই তিন নারী এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ সময় হালিমার পেটে একাধিক লাথি মারেন তারা। এতে হালিমার ছোট ছেলেমেয়ে বাঁধা দিলে তাদেরকেও মেরে জখম করা হয়।
সংবাদ পেয়ে মঠবাড়িয়া থানার পুলিশ গুরুতর আহত হালিমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে জানা যায়, হালিমার গর্ভের পাঁচ মাসের সন্তান মারা গেছে। এ ঘটনার পর গতকাল সোমবার হালিমার বোন ফাতিমা বেগম বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সেই মামলায় আজ ওই তিন নারী আগাম জামিন নিতে আদালতে হাজির হন। জামিন না দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট-৩। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মঠবাড়িয়া থানার ওসি নুরুল ইসলাম বাদল। তিনি বলেন, অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।