আলম রায়হান:
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এবারের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বরিশাল বন বিভাগের দৃশ্যমান কোন কর্মসূচি ছিলো না। এমনকি সামান্য ব্যানারও টানানো হয়নি বন বিভাগের কোন ভবন বা অফিস চত্বরে। যা অনেকেরই বিস্ময়ের উদ্রেক করেছে।
সবাই জানেন, জাতীয় শোক দিবস বাংলাদেশে পালিত একটি জাতীয় দিবস। প্রতিবছরের ১৫ আগস্ট জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দিবসটি গভীর বেদনার সঙ্গে পালন করা হয়। এ দিবসে কালো পতাকা উত্তোলন ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এ দিবসের উৎপত্তি এবং পালন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংসতম হত্যালীলার পর একটানা ২১ বছর এই দিবসটি পালন ছিলো কঠিন। সেই সময়ের ক্ষমতাসীনরা নানানভাবে শোক দিবস পালনে প্রতিবন্ধকবতা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার করার পর দৃশ্যপট পাল্টে যায়। কিন্তু ২১ বছরের ন্যাক্কারজনক দৃশ্যপট আবার ফিরে আসে ২০০১ সালে জামাত-বিএনপি সরকার গঠন করার পর। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর আবার ফিরে আসে বাধাহীনভাবে জাতীয় শোক দিবস পালনের ধারা। যত দিন যাচ্ছে, এই ধারা ততই প্রবল হচ্ছে। কিন্তু এরও যে ব্যতিক্রম আছে তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো বরিশাল বন বিভাগ।
বন অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের প্রধান হচ্ছে, বন সংরক্ষক মোহাম্মদ হারুনর রশিদ খান। নগরীর কাশীপুরে বিশাল এলাকা নিয়ে তার অফিস। এবং বরিশালের ডিএফও রফিক আহমেদের অফিস নগরীর নতুনবাজার এলাকায়। কিন্তু এই দুই এলাকার কোন ভবনেই শোক দিবসের কোন ব্যানার টানানো হয়নি।
এ প্রসঙ্গে বক্তব্য নেয়ার জন্য ১৭ আগস্ট কশিপুরে বন সংরক্ষকের অফিসে গেলে তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকতারা বলেন, ‘স্যার অনলাইন মিটিং-এ ব্যস্ত আছেন। দেখা হবে না।’ এমনকি তারা দৈনিক দখিনের সময়-এর প্রতিবেদকের ভিজিটিং কার্ড পৌছাতেও অপারগতা প্রকাশ করে। তবে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকাল সোয়া দশটার দিকে টেলিফানে যোগাযোগ করা হয়েলে সিএফ মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ খান জানান, তারা বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সমবেত হয়ে শোক দিবস পালন করেছেন। অফিস চত্বর বা ভবনে শোক দিবসের কোন ব্যানার না থাকা প্রসঙ্গে সিএফ বলেন, ‘আমি তো ওদেরকে টাঙ্গাতে বলেছিলাম!’
এদিকে ডিএফও রফিক আহমেদের সঙ্গে ১৭ আগস্ট দেখা করা হলে তিনি জানান, ‘শোক দিবসের ব্যানার টানোর কোন সিদ্ধান্ত ছিলো না।’ অবশ্য ডিএফও’এর এই বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করেন সিএফ মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
দখিনের সময় ডেস্ক:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হলমার্ক কেলেঙ্কারির মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামসহ...
দখিনের সময় ডেস্ক:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হলমার্ক কেলেঙ্কারির মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামসহ...