দখিনের সময় ডেস্ক
নাম সাজিদ উল কবির। ৩ বছর ধরে ক্লাস করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে, ট্যুরেও গিয়েছেন ব্যাচের অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। কিন্তু আজ বুধবার (২৪ আগস্ট) ৩য় বর্ষের ইনকোর্স পরীক্ষা চলাকালে সন্দেহবসত জিজ্ঞাসাবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানতে পারেন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীই নন। তিনি ঢাবিতে চান্সই পাননি। এতে হতবাক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবাই।
পরে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে বলেন, এতদিন ধরে সাজিদকে আমরা সহপাঠী ভেবে এসেছি। একত্রে আমরা ট্যুরেও গিয়েছি।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষা চলাকালে একটি রোল নম্বরে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন, যেটি তার নয়। প্রাথমিকভাবে আমরা তাকে বিভাগের ছাত্র নয় বলে শনাক্ত করেছি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিসের প্রতিনিধিদের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের দায়িত্বরত সহকারী প্রক্টর আবু হোসেন মুহম্মদ আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, পরীক্ষানিয়ন্ত্রক অফিস থেকে যাচাই করার পর আমরা জানতে পারি অভিযুক্ত ছাত্রটি ঢাবির শিক্ষার্থীই নয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, সে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে তবে চান্স পায়নি। আদতে সে শিক্ষার্থীই নয়। তার ইচ্ছা ছিল ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়ার তাই সে বিভিন্ন সময়ে ক্লাস করেছে। তবে সে ৩ বছরে তিন মাস ক্লাস করেছে। কোনো ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। ইনকোর্স পরীক্ষা দেওয়ার সময় শিক্ষকদের বলত তার রোল আসেনি।
সহকারী প্রক্টর আবু হোসেন মুহম্মদ আহসান আরও বলেন, আমরা তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেছি। পুলিশের তদন্তের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।