সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হতে চান জিএম কাদের। এজন্য জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে বেগম রওশন এরশাদকে সরিয়ে জি এম কাদেরকে মনোনয়ন দিতে সংসেদর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে চিঠিও দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, জিএম কাদের বর্তমানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলের উপ-নেতার পদে রয়েছেন।
সশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, জিএম কাদেরের সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার পদ প্রাপ্তির সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। বরং হটকারী এই উদ্যোগের ফলে বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে জিএম কাদেরের সমঝোতার পথ চিরতরে রুদ্ধ হয়েগেলো। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি ভাঙ্গণ প্রবন জাতীয় পার্টিতে ভাঙ্গণ প্রক্রিয়া অধিকতর জোরালো হলো।
উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে জি এম কাদেরের সভাপতিত্বে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে বেগম রওশন এরশাদকে সরিয়ে জি এম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা করার সিদ্ধান্ত নেয়া । এ ব্যাপারে একই দিন স্পিকারকে চিঠিও দেয়া হয়েছে। এব্যপারে সিদ্ধান্ত নেবার এখতিয়ার স্পিকারের। রেওয়াজ অনুসারে, দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য কোনো সিদ্ধান্ত স্পিকার অনুমোদন করেন। তবে এবার এর ব্যতিক্রম হতে পারে বলে অবস্থা দৃষ্টে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এ ধারণার সঙ্গে স্পষ্ট দ্বিমত প্রকাশ করেছেন জি এম কাদের। ২ সেপ্টেম্বর দৈনিক দখিনের সময় প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপকালে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, কেন এমন হবে?
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, আসলে এমনটাই হবে। স্পিকারের বরাবরে দেয়া জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের চিঠি ঝুলে থাকবে। প্রসঙ্গত, সংসদ থেকে একযোগে পদত্যাদের আবেদন ঝুলে থাকার দৃষ্টান্ত আছে। এব এব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তই আর হয়নি। একই পরিণতি হতে পারে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের চিঠিও। এর একাধিক কারণ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধান কারণ হচ্ছে, জিএম কাদেরে প্রতি ক্ষমতাসীনদের আস্থাহীনতা। যার স্পষ্ট দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জিএম কাদের ২০০৯-২০১১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী থাকাকালে।
মন্ত্রী হিসেবে জি এম কাদের দক্ষতা এবং সততা বাংলাদেশের বাস্তবতা গ্রহনযোগ্য মাত্রায় ছিলো বলে মনে করা হয়। আন্তত তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ কেউ তোলেননি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারকে রাজনৈতিকভাবে বেকায়দা ফেলার। আওয়ামী লীগের কোন কোন নীতি দুর্নীতি, নির্ধারকরা মনে করেন, জোরেলর এরশাদের ‘চাহিদাপত্র’ অনুসারে জি এম কাদেরকে মন্ত্রী করে আওয়ামী লীগকে বেশ বেকাদায় পড়তে হয়েছিলো। অতীত অভিজ্ঞতা জিএম কাদেরকে সংসদের বিরোধ দলের নেতার আসনে আসিন করে আর ঝুকি নিতে চাচ্ছে না আওয়ামী লীগ।
উল্লেখ্য, বেশ কিছু দিন ধরে সরকারের কঠোর সমালোচনা করছেন জি এম কাদেরকে । তিনি বলছেন, যেসব কারণে শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়েছে, তার সব লক্ষণই বাংলাদেশে শুরু হয়ে গেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশেও রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও আমলা—এই তিন গোষ্ঠীর যোগসাজশে দেশের টাকা বিভিন্নভাবে লুটপাট ও বিদেশে পাচার হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, বর্তমান সরকার যে করেই হোক, আবারও ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবে। তবে দেশে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ২০২৩ সালে একেবারে সাজানো নির্বাচন করা সহজ হবে না। ক্ষমতার নিয়ামক শক্তি হিসেবে জাতীয় পার্টি ভবিষ্যতে ওই সিদ্ধান্তই নেবে, যা জনগণের স্বার্থের পক্ষে যায়।
এমন আরও অনেক বিষয়ে তিনি খোলামেলা কথা বলছেন। যা ক্ষমতাসীনদের জন্য বিব্রতকর। এই অবস্থায় তাকে সংসদদে বিরোধী দলের নেতার আসনে বসিয়ে আওয়ামী লীগ কি নিজের পায়ে ‘কুড়াল মারবে?’ এ বক্তব্য রানৈতিক বিশ্লেষকদের। প্রঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, আওামী লীগের গত সরকারে জাতীয় পার্টির থেকে কয়েকনকে মন্ত্রী করা হলেও জিএম কাদেরকে কিছুই করা হয়নি। এই জিএম কাদেরকে রাজনীতির জটিল এই সময় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা করা হবে- এমনটি বিশ্বাস করতে চান না পর্যবেক্ষক মহল।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, সিদ্ধান্ত নয়া এবং কথা বলার ক্ষেত্রে জি এম কাদের রাজনৈতিক কৌশলকে প্রাধ্যান্য দেবার চেয়ে বেশিগুরুত্ব দেন তার নিজের বিবেক ও বিবেচনাকে। ফলে কেবল আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে নয়, তার বিরোধ হয়ে ছিলো সহোদর জেনারেল এরশাদের সাথেও। যে কারণে জাতীয় পার্টির থেকে তাঁকে বহিস্কারও করা হয়েছিলো। সে সময় পাল্টা দল গঠন করার উদ্যোগ নিয়েও শেষতক পিছিয়ে গিয়েছিলেন জিএম কাদের ।
দখিনের সময় ডেস্ক:
বাংলাদেশের কওমী মাদরাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক কারামুক্তির পর নেতাকর্মী ও অনুসারীরা হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব...
দখিনের সময় ডেস্ক:
পরিণত বয়সী ছাগলের উচ্চতা মাত্র ১ ফুট। এগুলো দেশি-বিদেশি অন্যান্য জাতের ছাগলের মতো নয়। এ জাতের ছাগলগুলো মানুষের সঙ্গে খুবই বন্ধুত্বসুলভ আচরণ...
দখিনের সময় ডেস্ক:
বাংলাদেশের কওমী মাদরাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক কারামুক্তির পর নেতাকর্মী ও অনুসারীরা হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব...
দখিনের সময় ডেস্ক:
পরিণত বয়সী ছাগলের উচ্চতা মাত্র ১ ফুট। এগুলো দেশি-বিদেশি অন্যান্য জাতের ছাগলের মতো নয়। এ জাতের ছাগলগুলো মানুষের সঙ্গে খুবই বন্ধুত্বসুলভ আচরণ...
বিএনপি নিয়ে ক্ষমতাসীনদের খিস্তিখেউড় প্রতিনিয়ত চলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। একটা নাটক আছে না, চলিতেছে সার্কাস। সরকারের অন্তত দুজন মন্ত্রী বিএনপি নিয়ে আল্লাহর ত্রিশ দিন কথা...