Home বিশেষ প্রতিবেদন সন্তানকে স্কুল-কলেজে পাঠানো নিয়ে অভিভাবকের নানান ভাবনা

সন্তানকে স্কুল-কলেজে পাঠানো নিয়ে অভিভাবকের নানান ভাবনা

স্টাফ রিপোর্টার:

করোনা ভাইরাস যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। বেশ কয়েক ধাপ বাড়ানোর পর আগামী ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে নানানভাবে দেখছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

উল্লেখ্য,  শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রথমেই সব শ্রেণির ক্লাস প্রতিদিন হবে না। প্রথমে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের দ্বাদশ, মাধ্যমিক পর্যায়ের দশম ও প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন (সপ্তাহে ছয় দিন) ক্লাস হবে। আর শিক্ষা-কলেজ খোলার পর প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে এক দিন ক্লাস হবে। এ ছাড়া নবম ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে দুই দিন করে ক্লাস হবে। এরপর করোনা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হলে ধীর ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ক্লাস শুরু হবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রমিত চন্দ্র দাস বলেন, আর অপেক্ষা না করে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া উচিত। দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পড়াশোনা হচ্ছে না। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা হোক। লালবাগ সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শান্ত হোসেনের অভিভাবক আব্দুল আজিজ মনে করেন, সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার খবর শুনে বাচ্চারা খুশি হয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি খেয়াল রাখা।

রাজধানীর হলি মডেল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর মা আছমা বেগমের মতে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা থেকে মন উঠে গেছে। সারাদিন দৌড়াদৌড়ি করে আর বাইরে খেলাধুলা করতে চায়। দীর্ঘদিন দিনের পড়ালেখার এ গ্যাপ পূর্ণ করতে অনেক সমস্যা হবে। তাই বাচ্চাদের স্বাস্থ্যবিধিটা খেয়াল রেখে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান আছমা বেগম।

এ বিষয়ে মহাখালী বিএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একজন শিক্ষার্থীর বাবা মো. মানিক বলেন,  বাসায় থাকতে থাকতে একগুঁয়েমি হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষের একটা বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে তা হলো-স্কুলে গিয়ে বাচ্চারা যেন অসুস্থ না হয়। ওখানে তাদের স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করতে হবে। বেসরকারি চাকরিজীবী কামরুল হাসান বলেন, ‘আমার ছেলে রায়হান হাসান পাবনার একটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। এক বছর স্কুল বন্ধ থাকায় আমার ছেলে যা শিখেছিল সব ভুলে গেছে।আমি প্রেশার দিলেও পড়তে বসে না৷ আমি সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবো, সরকার যদি মনে ৩০ মার্চ স্কুলে দিলে ভালো আমরা সেটা মেনে নিয়েই আমার সন্তানকে স্কুলে পাঠাবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

ডিভোর্সের দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান

দখিনের সময় ডেস্ক: নিন্দুকরা মনে করছে বাংলার মেয়ে গিটার বাদক মোহিনী দে-র জন্যই হয়ত সায়রাকে ছেড়েছেন ভারতের অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী ও সুরকার এ আর রহমানের। তবে...

যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র টোকিও, সেক্স ইন্ডাস্ট্রির জড়িত কিছু চক্র

দখিনের সময় ডেস্ক: যখন স্বর্ণযুগ ছিল, শহরটি অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নতি দেখেছে। এটি এখনো বিশ্বের অন্যতম বাসযোগ্য শহর হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে আশঙ্কার বিষয়...

শীত নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

দখিনের সময় ডেস্ক: দেশের কোথাও কোথাও আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আবার কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে...

শেখ হাসিনা গুজব ছড়িয়ে দুর্বৃত্তদের উস্কানি দিচ্ছে: রিজভী

দখিনের সময় ডেস্ক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিদেশে বসে শেখ হাসিনা গুজব ছড়িয়ে দুর্বৃত্তদের উস্কানি দিচ্ছেন। ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্যই গত...

Recent Comments