Home অন্যান্য অপরাধ ও দূর্নীতি হাতিরঝিল থানার ওসিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

হাতিরঝিল থানার ওসিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

দখিনের সময় ডেস্ক:

রাজধানীর হাতিলঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের ইন্সপেক্টর গোলাম মোক্তার আশরাফ উদ্দিনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিরা হলেন, তানীম রেজা বাপ্পি, সাজিদা তানীম, জাবেল হোসেন পাপন, মো. জামাল ও সাইফুল ইসলাম।

ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক জুলফিকার হায়াতের আদালতে ভুক্তভোগী ওই নারী এ মামলার আবেদন করেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আদালত সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। তবে কোনো আদেশ হয়নি বলে নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটরই মাহমুদা আক্তার।

মামলায় বলা হয়, গত ১ মার্চ ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে আসামি তানীম রেজা বাপ্পি, জাবেল হোসেন পাপন, মো. জামাল ও ওসি আব্দুর রশিদসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন বাদী। ট্রাইব্যুনাল ওসি আব্দুর রশিদকে বাদ দিয়ে তানীম রেজা বাপ্পি, জাবেল হোসেন পাপন, মো. জামালসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানাকে মামলাটি এজাহার হিসাবে গ্রহণের নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী হাতিরঝিল থানা এজাহার নেয়। বর্তমানে ওই মামলাটি পিবিআইয়ের তদন্তাধীন।

এই মামলা হওয়ার পর আসামি আব্দুর রশিদ ও আশরাফ উদ্দিনের সহযোগিতায় অপর আসামিরা মামলাটি তুলে নিতে এবং আসামি তানীম রেজা বাপ্পি ও জাবেল হোসেন পাপনকে জামিন করে আনতে চাপ দেন। না হলে বাদীর ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হয়। এরপর গত ২৩ মে রাতে আসামি তানীম রেজা বাপ্পি, মো. জামাল ও সাইফুল ইসলাম বাদীর বাসায় এসে তাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেন।

বাদী মামলা তুলে না নিতে চাইলে আসামি মো. জামাল বাদীর ছেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি রেখে তাকে ধর্ষণ করেন। একইভাবে গত ৩১ মে রাতে তারা আরও অনেক বার বাদীকে ধর্ষণ করেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ৫ জুন সকালে বাদীর বাসায় এসে আসামি আব্দুর রশিদ ও আশরাফ উদ্দিনের সহযোগিতায় অপর আসামিরা বাদীকে পিবিআই অফিসে নিয়ে যান। পরে আসামি আব্দুর রশিদ ও আশরাফ উদ্দিন বাদীর কাছ থেকে জোর করে কয়েকটি সাদা কাগজ ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। তাদের শিখিয়ে দেওয়া মনগড়া বক্তব্য বাদীকে দিয়ে বলিয়ে অডিও রেকর্ড করেন এবং লিখিত নেন।

এরপর গত ২১ জুলাই বাদী শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারে তিনি সাত সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। বাদী নিরূপায় হয়ে গত ২৬ জুলাই পুলিশ হেডকোয়াটার্সে আইজিপি বরাবর ঘটনা তুলে ধরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বাদীর অভিযোগের বিষয়ে আসামিরা জানতে পেরে গত ২৮ জুলাই বিকালে বাদীকে অস্ত্রের মুখে বাসা হতে তুলে নিয়ে খিলগাঁও থানার দক্ষিণ গোড়ান ছাপড়া মসজিদ এলাকার নগর উন্নয়ন সমাজসেবা সংস্থায় নিয়ে আসে আসামিরা। পরে নার্স ও সেখানকার চিকিৎসক দিয়ে তার গর্বপাত করান।

এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বাদীর বিরুদ্ধে আসামিরা সোস্যাল মিডিয়াই অপপ্রচার চালিয়ে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করাসহ হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

স্মার্টফোনে ইন্টারনেট চলে যাচ্ছে? জেনে নিন গতি বাড়ানোর কৌশল!

দখিনের সময় ডেস্ক: অনেকেই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় হঠাৎ করেই দেখেন, নেটওয়ার্ক চলে গেছে। আশেপাশের অন্যরা নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারলেও আপনার ফোনেই সমস্যা...

প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি পান করলে কী হয়?

দখিনের সময় ডেস্ক: ওজন কমানো একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হতে পারে। কঠোর ডায়েট অনুসরণ করা, খাবারের প্রতি লোভ নিয়ন্ত্রণ করা, প্রতিদিন জিমে যাওয়া, কঠোর ওয়ার্কআউট করা...

ডিভোর্সের দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান

দখিনের সময় ডেস্ক: নিন্দুকরা মনে করছে বাংলার মেয়ে গিটার বাদক মোহিনী দে-র জন্যই হয়ত সায়রাকে ছেড়েছেন ভারতের অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী ও সুরকার এ আর রহমানের। তবে...

যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র টোকিও, সেক্স ইন্ডাস্ট্রির জড়িত কিছু চক্র

দখিনের সময় ডেস্ক: যখন স্বর্ণযুগ ছিল, শহরটি অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নতি দেখেছে। এটি এখনো বিশ্বের অন্যতম বাসযোগ্য শহর হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে আশঙ্কার বিষয়...

Recent Comments